পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৪
বত্রিশ সিংহাসন।

এই গুণ, ইহার মধ্যে যে রত্নের অভিলাষ হয় লও। ব্রাহ্মণ চারি রত্নের চারি গুণের কথা শুনিয়া কেন, রত্ন লইবেন তাহা স্থির করিতে পারিলেন না, কহিলেন আমি গৃহ হইতে আসিয়া যাহা গ্রহীতব্য হয় নিবেদন। করিতেছি। ইহা কহিয়া বিপ্র গৃহে গমন করিলেন। রাজা তাহার প্রত্যাগমনপ্রতীক্ষায় তথায় দণ্ডায়মান থাকিলেন।

 ব্রাহ্মণ গৃহে গিয়া আপন ভার্য্যা পুত্র ও পুত্রবধূকে সমস্ত বিবরণ কহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন এই চারি রত্নের। মধ্যে কোন, রত্ন গ্রহণ করি। ব্রাহ্মণী বলিলেন যে রত্নে ধনােৎপত্তি হয় তাহা গ্রহণ কর, তাহা হইলে সকল কর্ম্ম সিদ্ধ হইবে। কেননা ধন হইতে ধর্ম্ম, জ্ঞান, পুণ্য, দান সকলি হইতে পারে। অন্য রত্নের প্রয়োজন নাই। নন্দন বলিলেন হস্তী অশ্ব না হইলে সংসারের শােভা হয় না, ইহারা মনুষ্যের সন্মানবদ্ধনকারী এবং জীবনযাত্রার প্রয়ােজনীয়, কেননা ইহা দেখিয়া সকলে নম্র হয়, এবং দুর্জনেরাও ভয় করে। অতএব সংসারের শােভাবদ্ধনকারী রত্ন গ্রহণ কর। শােভা বিনা কেবল অর্থে জীবনের কি ফল। পুত্রবধূ বলিলেন যে রত্ন হইতে অলঙ্কারাদি লাভ হয় তাহা গ্রহণ করা কত্তব, কেননা তাহা স্ত্রীলােকের অঙ্গভূষণ, এবং তদ্বারা নারীগণ অপসরাতুল্য হয়, পতিহীনা নারীও তাহা পরিধান করিলে অতি সুন্দরী হয়। এবং তাহা বিপদের সম্পদ, যেহেতু বিপদকালে বিক্রয় করিলে।