দিতেছি তোমরা চারি জনে লইবে, কেহ ক্ষুন্ন হইবেন। ইহা বলিয়া রাজা তাহাকে চারি রত্ব প্রদান করিলেন। ব্রাহ্মণ মহা আলাদিত হইয়া রাজাকে আশীর্বাদ করিতে করিতে গৃহে প্রস্থান করিলেন।
অতএব হে ভোজরাজ, দেখ, রাজা বিক্রমাদিত্য এই অমূল্য রত্ন দান করিতে কিছুমাত্র কুণ্ঠিত হইলেন। এই কলিকালে এমত দাতা কে আছে। অতএব যিনি রাজা বিক্রমাদিত্যের তুল্য দান করিতে পারিবেন তিনি এই সিংহাসনে উপবেশন করিবেন, তদ্ভিন্ন যিনি ইহাতে পদোত্তোলন করিবেন তাহার নরক বাস। হইবেক। তুমি ব্যগ্র হইওনা, ধৈর্যশালী হও, এবং রাজা বিক্রমাদিত্যের বীরত্ব ও বদন্যতার আর আর বৃত্তান্ত শ্রবণ কর।
ভোজরাজ পুত্তলিকার এই বাক্য প্রবণ করিয়া সে দিবস সিংহাসনারোহণে ক্ষান্ত হইলেন। পর দিবস প্রত্যুষে স্নান পূজা সমাপন করিয়া মন্ত্রীগণ সমভিব্যাহারে আগমন পূর্বক সিংহাসনোপবেশন জন্য চরণেত্তোলন করিলে,
রূপরেখা অষ্টাদশ পুত্তলিকা
কহিল মহারাজ এ কি করিতেছ, প্রথমে আমার এক বাক্য শ্রবণ কর তৎপরে যাহা বাঞ্ছা করিও। রাজা ‘বলিলেন কি বলিতে চাহ। পুত্তলিকা বলিল।
এক দিবস দুই সন্ন্যাসীতে কোন বিষয়ে বিবাদ