পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টাদশ পুত্তলিকা।
১২৭

হইয়াছিল। তাহাতে কেহ কাহাকে পরাস্ত করিতে না পারিয়া, পরিশেষে রাজা বিক্রমাদিত্যের সভাতে উপস্থিত হইয়া বলিলেন মহারাজ আমাদের কোন বিষয়ে সংশয় জন্মিয়াছে, আপনি তাহার মীমাংসা করিয়া দেউন, আমরা তজ্জন্য আপনার স্থানে আসিয়ছি। রাজা জিজ্ঞাসিলেন তোমাদের কি বিবাদ। এক জন কহিল আমি এই কহিতেছি মন প্রধান, জ্ঞান আত্মা ও ইন্দ্রিয়গণ তাহার অধীন। মায়। মোহ পাপ পুণ্য প্রভৃতি সকল কর্ম মন হইতে উদ্ভব হয়, সুতরাং মন সকলের মূল। মনুষ্য কেবল কায়ের ভূপতি, অঙ্গ সকল তাহার আজ্ঞাকারী, কিন্তু তাহারা মনের ইচ্ছানুযায়ী কর্ম করে। দ্বিতীয় সন্ন্যাসী কহিল মহারাজ আমি বলিতেছি জ্ঞান শরীরের রাজা, মন তাহার আজ্ঞাকারী, যেহেতু মন কোন কুকর্মে প্রবৃত্ত হইলে জ্ঞান তাহাকে নিবৃত্ত করিতে পারে। ইন্দ্রিয় সকল মনের বশবর্ত্তী, মন তাহাদিগকে যে পথে চালায় তাহারা সেই পথে চলে। কিন্তু জ্ঞান সকলের প্রধান, মন কুপথগামী হইলে তাহাকে নিবারণ করে, এবং পঞ্চ ইন্দ্রিয় জ্ঞানের বশীভূত থাকে, জ্ঞানদ্বারা ইন্দ্রিয়ের বিকার দূর হইলে মনুষ্যের কোন ভয় ভাবনা থাকেনা, এবং অনায়াসে যোেগ সিদ্ধ হইতে পারে।

 রাজা বিক্রমাদিত্য উভয়ের বাক্য শ্রবণ করিয়া তাহাদিগকে বলিলেন তোমাদের বিবাদের আমূল বুঝিলাম, তোমরা কিঞ্চিৎ অপেক্ষা কর, আমি বিবেচনা