পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উনবিংশ পুত্তলিকা
১৩৩

করিলেন তুমি এই বনে কত ক্ষণ আসিয়াছ। সে কহিল আমি রাত্রি দুই ঘটিকা থাকিতে এখানে আসিয়াছি। ব্রাহ্মণ পুনর্ব্বার জিজ্ঞাসিলেন তুমি আর কোন ব্যক্তিকে এই পথ দিয়া আসিতে দেখিয়াছ কি না। ঐ ব্যক্তি বলিল আমি যে সময়ে আসিয়াছিলাম সে সময়ে, মনুষ্য দুরে থাকুক পশু পক্ষীও দেখিতে পাই নাই। ব্রাহ্মণ কহিলেন তবে তুমি আমাকে তোমার দুই খানি চরণ দেখাও দেখি। এই কথায় সে ব্যক্তি ব্রাহ্মণকে আপনার দুইখানি পদ দেখাইল।

 ব্রাহ্মণ দেখিলেন তাহার চরণ রাজলক্ষণাক্রান্ত বটে, কিন্তু তাহার দুরবস্থা দর্শনে মনে মনে চমৎকৃত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি কত দিবস অবধি এই কর্ম্ম করিতেছ। সে কহিল যে অবধি আমার জ্ঞান উৎপন্ন হইয়াছে সেই অবধি আমি এই কর্ম্ম করিয়া উদরান করিতেছি। বিপ্র কহিলেন তুমি অনেক ক্লেশ পাইতেছ। সে কহিল ইহা ভগবানের ইচ্ছা, তাহার ইচ্ছাতে কোন ব্যক্তি গজারোহণ করে, কেহ পদব্রজে চলে, কেহ বিনা আকাঙ্ক্ষায় অতুল ঐশ্বর্য্য প্রাপ্ত হয়, কেহবা ভিক্ষা করিয়াও উদরান করিতে পারে না, কেহ নানা সুখে উল্লাসিত, কেহ বা অতি দুঃখে ব্যাকুলিত। সুখ দুঃখের মূল পরমেশ্বর। তিনি যাহার অদৃষ্টে যাহা লিখিয়াছেন তাহাকে তাহ। ভোগ করিতে হইবে। তাহা খণ্ডন করা মনুষ্যের সাধ্যনহে।

 ব্রাহ্মণ তাহার প্রমুখাৎ এই সকল বাক্য শ্রবণ