পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৪
বত্রিশ সিংহাসন
১৩৪

করিয়া এবং তাহার চরণচিত্ন দর্শন করিয়া মনে মনে কহিলেন হায়, আমি এত পরিশ্রম করিয়া সামুদ্রিক বিদ্যা শিক্ষা করিলাম, সে সকল পরিশ্রম বিফল হইল, আমার জীবনকাল অনর্থক গেল। এইরূপ আক্ষেপ করিতে করিতে ব্রাহ্মণ রাজার সদনে চলিলেন, মনে মনে কহিতে লাগিলেন পুস্তকে যে যে রাজচিত্ন লিখিয়াছে যদি তাহা রাজার চরণে দেখিতে পাই, ভাল, নতুবা সকল পুস্তক ছিন্ন করিয়া অগ্নিতে আহুতি দিব, এবং বৈরাগ্য লইয়া তীর্থে গমন করিব, সংসারের সহিত কোন সম্পর্ক রাখিব না। তিনি আক্ষেপ পূর্ব্বক আরও কহিলেন হায় মিথ্যা কর্ম্মের নিমিত্ত এতকাল বৃথা পরিশ্রম করিলাম, তাহার ফল কিছুই হইল না। এই শাস্ত্রের আলোচনা অপেক্ষা পরমেশ্বরের ভজনা করা উত্তম, তাহাতে যদিও আশু উপকার নাই, কিন্তু চরমে পরম পদার্থ লাভ হইবে।

 এবম্বিধ চিন্তা করিতে করিতে দ্বিজবর রাজসভাতে উপস্থিত হইয়া রাজাকে আশীর্বাদ করিয়া দাড়াইলেন। রাজা দণ্ডবৎ প্রণাম পূর্ব্বক জিজ্ঞাসা করিলেন, হে বিপ্ল শ্রেষ্ঠ, তোমার বদন কেন অপ্রফুল্ল দেখিতেছি, তোমার মনে কি দুঃখোদয় হইয়াছে, আমাকে বল। ব্রাহ্মণ কহিলেন, তুমি প্রথমে আমাকে ভোমার দুইখানি চরণ দেখাও, তাহাতে আমার চিত্তের সংশয় দূর হউক। রাজা তৎক্ষণাৎ তাহাকে আপন চরণ দর্শন করাইলেন। তাহাতে কোন রাজলক্ষণাদি দৃষ্টি হইল না। তখন