পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিংশ পুত্তলিকা।
১৩৭

 এই সমস্ত বাক্য শুনিয়া রাজার জ্ঞানোদয় হইল। তিনি কহিলেন এই সংসার মায়া প্রপঞ্চ মাত্র। ছায়া যেমন অনিত্য, পৃথিবী সেইরূপ। মনুষ্যের জীবন মৃত্যু, চন্দ্র সূর্যের গতির ন্যায়। এবং স্বপ্নে যে প্রকার কৌতুক দর্শন করাযায় সংসারও সেইরূপ। মনুষ্যদেহ ধারণে অনেক যন্ত্রণা ভোগ করিতে হয়। জ্ঞানোপার্জনই কেবল সুখের সাধন।

 মনোমধ্যে এই সকল জ্ঞানের কথা পর্যালোচনা করিতে করিতে রাজা স্বীয় মন্দিরে গমন করিলেন। সিংহাসনারোহণ করিলেন না। কোন প্রকারে রাত্রি যাপন করিয়া, পর দিবস অরুণোদয়ানন্তর সভায় আসিয়া সিংহাসনারোহণে উদ্যত হইলে,

চন্দ্রজ্যোতি বিংশ পুত্তলিকা

বলিল মহারাজ আমি এক প্রসঙ্গ বলি শ্রবণ কর।

 এক দিবস রাজা বিক্রমাদিত্য হৃষ্টান্তঃকরণে মন্ত্রীকে কহিলেন কার্তিক মাস ধর্ম্মমাস, এই মাসে ধর্ম্ম কর্ম্ম করা কর্তব্য, অতএব শারদ পূর্ণিমার দিবস রাসলীলা হউক। মন্ত্রী রাজাজ্ঞানুসারে দেশ বিদেশীয় ভূপতি পণ্ডিত গণকে নিমন্ত্রণ করিয়া আনিলেন, এবং নগরস্থ ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ও যোগী উপস্থিত হইলেন। দেবতাগণও মন্ত্র দ্বারা আহূত হইলেন। এই প্রকার রাসারম্ভ হইলে চতুর্দিক হইতে জয়ধ্বনি হইতে লাগিল। রাজা দেখিলেন সকল দেবতা আসিয়াছেন, কেবল চন্দ্র আইসেন ও