পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিংশ পুত্তলিকা।
১৩৯

রাজা ব্রাহ্মণের স্বর-পরিচয়ে যমদূতকে জিজ্ঞাসা করিলেন তোমরা কে। তাহারা কহিল আমরা যমের দাস উজ্জয়িনী নগরে গিয়াছিলাম, তথা হইতে এক ব্রাহ্মণের প্রাণ লইয়া যমরাজের নিকটে যাইতেছি। রাজা বলিলেন তোমরা কোন ব্রাহ্মণের প্রাণ লইয়া যাইতেছ আমার সঙ্গে আসিয়া তাহাকে দেখাইয়া দাও, পশ্চাৎ আপন কর্মে যাইবে। এই কথায় দূতদ্বয় রাজাকে উজ্জয়িনী নগরে লইয়া গিয়া ব্রাহ্মণের মৃত দেহ দেখাইল। রাজা দেখিলেন ঐ ব্রাহ্মণ তাঁহার পুরোহিত, অতএব দূতদ্বয়ের সহিত কথোপকথন করিতে ২ গোপন ভাবে তাহার গাত্রে অমৃত প্রক্ষেপ করিলেন। ব্রাহ্মণ প্রাণ দান পাইয়া রাম নাম উচ্চারণ পূর্ব্বক গাত্রোত্থান করিয়া দাণ্ডাইলে, রাজা তাহাকে প্রণাম করিলেন। ব্রাহ্মণ রাজাকে আশীর্বাদ পূর্ব্বক কহিলেন আমি মহারাজের কৃপাতে জীবন দান পাইলাম। ব্রাহ্মণকে পুনজীবিত দেখিয়া দূতদ্বয় চমৎকৃত হইয়া মনে মনে কহিল হায় রাজা কি করিলেন, আমরা যম সদনে যাইয়া কি কহিব। ইহা ভাবিতে ভাবিতে রিক্তহস্তে শমন সদনে গিয়া সকল বিবরণ কহিল।’ যমরাজ তাহা শুনিয়া মৌন থাকিলেন। এ দিকে রাজা ব্রাহ্মণের হস্ত ধারণ পূর্ব্বক তাহাকে আপন আলয়ে লইয়া গেলেন, এবং অনেক অর্থ দিয়া বিদায় করিলেন।

 এই কথা শেষ করিয়া পুত্তলিক। কহিল, হে ভোজরাজ যদি তোমার এমত পুরুষত্ব থাকে তবে সিংহাস-