পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একৰিংশ পুত্তলিকা।
১৫৩

কহিল মহারাজ প্রাণত্যাগ করিবেন না, আমি অমৃত আনয়ন করিতেছি, তদ্বারা উভয়ের প্রাণ দান হইবে। ইহা বলিয়া বেতাল পাতালপুর হইতে অমৃত আনয়ন করিয়া ব্রাহ্মণকুমারের প্রাণদান করিল। রাজা ঐ অমৃত লইয়া গিয়া কামকলার অঙ্গে প্রোক্ষণ করিলেন, তাহাতে সেও পুনর্জীবিত হইয়া উঠিল এবং মাধব মাধব বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতে লাগিল। সম্মুখে রাজাকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল তুমি কে, কোথা হইতে আসিয়াছ। রাজা বলিলেন আমি বীর বিক্রমাদিত্য, মাধবের বিরহ-যন্ত্রণা দূর করণার্থ উজ্জয়িনী নগর হইতে তাহাকে এখানে লইয়া আসিয়াছি, তুমি নিশ্চয় জান, তোমার সঙ্গে তাহার সংমিলন করিয়া দিব। ইহা শুনিয়া কামকলা প্রেমানন্দে পুলকিত হইয়া রাজার চরণ ধারণ করিল, আর বলিল হে পুরুষোত্তম তুমি ইহা করিলে আমাকে জীবন দান করিবে, এবং তোমার যে প্রকার যশঃ শ্রবণ করা যায় তাহা আরো বিস্তারিত হইবে।

কামকন্দলা এ কথা বলিলে রাজা স্বীয় শিবিরে প্রত্যাগমন করিলেন। পর দিবস সৈন্য সামন্ত লইয়া কামনগরী আক্রমণ করিলেন। তখন কামসেন রাজা পরাভব মানিয়া অঙ্গীকার করিলেন কামকলাকে প্রেরণ করিবেন। তিনি ইহাও বলিয়া পাঠাইলেন আমি আপনার চরণ দর্শন জন্য যুদ্ধ করিতে চাহিয়াছিলাম, আমার সে অভিলাষ পূর্ণ হইল, এবং আপনার