পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১০
বত্রিশ সিংহাসন।

থাক, আমি এই সিংহাসন এখনি ভগ্ন করিয়া ফেলিতেছি। বররুচি পুরোহিত কহিলেন মহারাজ ইহা সদ্বিবেচনার কর্ম্ম নহে। প্রথমতঃ পুত্তলীর বাক্য শ্রবণ করুন, তাহার পর যাহা কত্তব্য করিবেন। এই বাক্যে রাজা ক্রোধ সম্বরণ পূর্ব্বক অন্তঃক্রদ্ধ হইয়া পুত্তলীকে বলিলেন কি বৃত্তান্ত বলিতে চাহ বল। পুত্তলিকা কহিল মহারাজ তুমি তাহা না শুনিয়াই ক্রোধে অন্ধপ্রায় হইয়াছ, শুনিলে না জানি কি করিবে, ফলতঃ তাহা শুনিলে তুমি আরো লজ্জিত এবং লোকসমাজে উপহাস্য হইবে, অতএব বলা অপেক্ষা না বলাই ভাল, রাজা বিক্রমদিত্যের সহিত আমাদের যে দিবসাবধি বিচ্ছেদ হইয়াছে সেই অবধি আমাদের কপাল ভাঙ্গিয়াছে, এবং উপযুক্ত ব্যক্তির অভাবে সিংহাসনও ভাঙ্গিয়া ফেলিবার যোগ্য হইয়াছে, অতএব এখন সিংহাসন ভাঙ্গিবার আর কি ভয়।

 পুত্তলীর এই বাক্য শুনিয়া রাজমন্ত্রী তাহাকে বলিলেন তুমি কি জন্য আক্ষেপ করিতেছ, তোমার রাজার বৃত্তান্ত বল। পুত্তলিকা বলিল শকাদিত্য রাজা অম্বাবতী নগরে রাজ্য করিতেন। ঐ রাজা অত্যন্ত প্রতাপ যুক্ত, দেবভক্ত এবং দাতা ছিলেন, অতএব প্রথমতঃ তাহার বৃত্তান্ত কহি শ্রবণ কর।

 অম্বাবতী নগরে শ্যামস্বয়ম্বর নামে এক ব্রাহ্মণ রাজা ছিলেন। তিনি প্রথমতঃ সামান্য ভাবে রাজ্য করিতেন, পরে তাহার রাজ্যের সমৃদ্ধি ও যশোবৃদ্ধি হইলে তিনি