পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৬
বত্রিশ সিংহাসন

হইল। ইহাদিগকেও রাজা সেই প্রকার জন্মান্ধা বধিরা বচনশক্তিরহিতা ধাত্রী দিয়া, সেই অরণ্য গৃহে প্রেরণ করিলেন। বালকেরা ঐ স্থানে থাকিয়া ধাত্রীদিগের স্তন পানে প্রাণ ধারণ পূর্বক প্রবন্ধমান হইতে লাগিল। ঐ গৃহের দুই ক্রোশ অন্তর পর্যন্ত এমত প্রহরী রহিল যে, মনুষ্যশব্দ দূরে থাকুক ঢাক ঢোলের শব্দও তথায় প্রবেশ করিতে পারিত না।

 এই প্রকার দ্বাদশ বৎসর অতীত হইলে এক দিবস পুরোহিতের ভার্য্যা ভর্তাকে কহিলেন এক যুগ পূর্ণ হইল আমি পুত্রের মুখাবলোকন করিলাম না। যদি হঠাৎ পরলোক গমন করি তবে তাহাকে আর দেখিতে পাইব না। অতএব তুমি রাজার স্থানে যাইয়া বল, মহারাজ দ্বাদশ বৎসর উত্তীর্ণ হইল আমি পুত্রের মখাবলোকন করি নাই। এইক্ষণে আমার অভিলাষ হইয়াছে তাহাকে গৃহাদি সমর্পণ করিয়া দণ্ডগ্রহণ পূর্ব্বক তপস্যা করি। ব্রাহ্মণীর পরামর্শে ব্রাহ্মণ রাজার সন্নিধানে গমন করিলে, রাজা তাহাকে প্রণিপাত পূর্ব্বক কুশলাদি জিজ্ঞাসা করিলেন। ব্রাহ্মণ আশীর্ব্বাদ করিয়া বলিলেন মহারাজ আপনার কৃপাতে সকল মঙ্গল, কিন্তু আমি এক মানস করিয়া মহারাজের সমীপে আসিয়াছি। রাজা বলিলেন কি মানস। ব্রাহ্মণ তখন সকল বৃত্তান্ত কহিলেন। তাহাতে রাজা মন্ত্রীকে আজ্ঞা করিলেন। চারি বালককে অরণ্য গৃহ হইতে আনয়ন কর।

 মন্ত্রী এই আজ্ঞা পাইয়া প্রথমত রাজকুমারকে