পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রথম পুত্তলিকা।
১১

গন্ধর্ব্বসেন নামে বিখ্যাত হইলেন। এই রাজার চারি বর্ণের অর্থাৎ ব্রাহ্মণী ক্ষত্রিয়া বৈশ্য ও শূদ্রা চারি ধর্ম্মপত্নী ছিল। ব্রাহ্মণী অতি সুন্দরী ও সুশীল ছিলেন, তাহার এক পুত্র হইয়া ছিল, তাহার নাম ব্রহ্মনীত। ব্রহ্মনীত সকল শাস্ত্রে অদ্বিতীয় পণ্ডিত ছিলেন,বিশেষতঃ জ্যোতিষ বিদ্যাতে তাহার এমত অসাধারণ ব্যুৎপত্তি জন্মিয়াছিল যে কোন দিনে কোন, ক্ষণে কোন ব্যক্তির মৃত্যু হইবে তিনি তাহা গণনা করিয়া বলিতে পারিতেন। ক্ষত্রিয়ার গর্ভে তিন পুত্র হইয়াছিল, প্রথম শঙ্কু, দ্বিতীয় বিক্রম, তৃতীয় ভর্তৃহরি। ইহারা ক্ষত্রিয় ধর্মাবলম্বী ও অতি বলবান, এবং বীর পুরুষ ছিলেন, এই জন্য তাহাদের নাম সর্বত্র সুপ্রকাশিত হইয়াছিল। তাহাদিগের বদান্যতাগুণে পৃথিবীস্থ তাবৎ লোকে তাহাদিগকে কল্পবৃক্ষ কহিতেন। বৈশ্যা রাণীর গর্ভে যে পুত্র হইয়াছিল তাহার নাম চন্দ্ররক্ষা, তিনি অতিসুখী ও দয়ালু ছিলেন। শূদ্রা রাণীর গভর্জাত পুত্রের নাম ধন্বন্তরি, তিনি বৈদ্য-শাস্ত্রে অতি পণ্ডিত ছিলেন। এই প্রকার গন্ধর্ব্বসেন রাজার ছয় পুত্র ছিল। তাহারা প্রত্যেকেই এক এক গুণে বিখ্যাত ছিলেন।

 ব্রাহ্মণীর গভজাত পুত্র রাজমন্ত্রী হইয়াছিলেন, কিন্তু কোন অপরাধ জন্য রাজা তাহাকে কর্ম্মচ্যুত করেন, তাহাতে তিনি তথা হইতে ধারা নগরে প্রস্থান করিলেন। ঐ নগরে তোমার পূর্ব পুরুষেরা বাস করিতেন, এবং তৎকালে তোমার পিতা ঐ স্থানের রাজা