পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্বিংশ পুত্তলিকা।
১৬৯

শুষ্ক করিতেছে, তাহার সম্মুখে এক নবীন বণিকতনয় বসিয়া তিলক করিতেছে, এবং পরপর হাস্য রহস্য ও ইঙ্গিত হইতেছে। যুবতী, কখন কখন করচালন চক্ষু মোটন এবং কেশ সঞ্চালন, কখন বা বক্ষঃস্থলের বসন উত্তোলন ও আবরণ, কখন বা দর্পণে বণিকপুত্রের মুখনিরীক্ষণ ও চুম্বনপূর্বক তাহা স্বীয় বক্ষঃস্থলে স্থাপন ইত্যাদি নানা প্রকার অঙ্গভঙ্গি করিতেছে। বণিককুমারও সেই প্রকার আকার ইঙ্গিত করিতেছে। রাজা তাহা দেখিয়া মনে মনে ভাবিলেন ইহারা শেষ কি করে দেখিতে হইবে। ইহা ভাবিয়া স্নান। পূজাদি করিতে লাগিলেন। কিয়ৎকাল পরে যুবতী অঙ্গ আচ্ছাদন পর্ব্বক অবগুণ্ঠন দ্বারা মুখাবরণ করিয়া তথা হইতে প্রস্থান করিল। বণিকনন্দনও তৎপশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিল। রাজা তাহা দেখিয়া তাহাদের পশ্চাৎ পশ্চাৎ এক দূত পাঠাইলেন, তাহাকে বলিয়া দিলেন ইহারা কোথায় যায়, কি করে তাহা সমৃদয় দেখিয়া আইস। দূত তাহাদের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল। যুবতী আপন আলয়ের নিকটবর্ত্তী হইয়া বণিককুমারকে মস্তক মুক্ত করিয়া দেখাইল, পরে বক্ষঃস্থল ধারণ পূর্বক গৃহ প্রবেশ করিল। বণিকপুত্রও আপন বক্ষঃস্থলে হস্তার্পণ করিয়া গমন করিল।

 দূত, রাজাকে এই সকল বার্তা কহিলে, রাজা এক বিচক্ষণ পণ্ডিতকে বলিলেন স্ত্রী লোকের চরিত্র শ্রবণে আমার স্পৃহা হইয়াছে, তাহা আমাকে শুনাও। পণ্ডিত