হইয়া রহিল। রাজা তখন আর কোন কথা না বলিয়া একে একে তাহাদের সকলের মস্তক চ্ছেদন করিলেন। পরে গৃহে আসিয়া তাহাদিগের অলঙ্কারাদি নগরস্থ ব্রাহ্মণীদিগকে বিতরণ করলেন, এবং ডিণ্ডিমপ্রচারদ্বারা নগরস্থ সমস্ত বিদ্বান ব্রাহ্মণকে আহ্বান করিয়া প্রত্যেক জনকে এক এক গ্রাম দান করিলেন। তদ্ভিন্ন যে সকল ব্রাহ্মণদুহিতা অবিবাহিতা ছিল তাহাদের বিবাহ দেওচাইলেন। তৎপরে রাজকার্য করিতে লাগিলেন।
পুত্তলিকা বলিল, শুন ভোজরাজ, তুমি পণ্ডিত বট, কিন্তু বিক্রমাদিত্যের তুল্য গুণসম্পন্ন ব্যক্তি এই আসনে উপবেশন করিবেন। তোমার তাদৃশ গুণ নাই অতএব কেন ইহাতে বসিতে বাসনা কর। এই প্রকার কথোপকথনে মে দিবসের শুভ লগ্ন অতীত হইল, রাজা সিংহাসনারোহণ করিতে পারিলেন না। পর দিন পুনর্ব্বার সিংহাসনের সম্মুখে আসিয়া দণ্ডায়মান হইলে,
জয়লক্ষ্মী পঞ্চবিংশ পুত্তলিকা
কহিল হে রাজন, আমি রাজা বিক্রমাদিত্যের এক দিবসের বৃত্তান্ত কহিতেছি শ্রবণ কর।
এক দরিদ্র ভাট নানাদেশীয় রাজাদিগের স্তুতিপাঠ করিয়া কোন প্রকারে দিনপাত করিত। সময়ে ঐ ভাট নানাদেশে নানা রাজসভা ভ্রমণ করিল, কিন্তু কোন স্থানে কপর্দকও লাভ হইল না। তাহাতে এক