পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যড়িংশ পুত্তলিকা।
১৮১

জীবন সার্থক হয়, এবং যে ব্যক্তি যেমন কর্ম করে সে সেই প্রকার ফলভোগী হয়। পরন্তু মনুষ্যের পরমায়ুঃ অল্প, অতএব ইহার মধ্যে এমত কর্ম্ম করা উচিত, যাহাতে মরণান্তে জগতে জাজ্বল্যমান যশঃ থাকে, ইহলোকে পরলোকে সুখলাভ হয়, আর পুনর্ব্বার মনুষ্যদেহ ধারণ করিতে না হয়। তুমি ইহা নিশ্চয় জানিও, পূর্বজন্মের সুকৃতি ও তপস্যা জন্য ইহজন্মে নরদেহ লাভ হইয়াছে, অতএব দান পরোপকার এবং দেবান করা অবশ্য কর্তৃব্য কর্ম্ম, তদ্ভিন্ন ভববন্ধনমোচনের অন্য কোন উপায় নাই। আমি এইক্ষণেই কহিলাম, মরণকালে কোন দ্রব্য মনুষ্যের সঙ্গে যায়না,এবং সৎকর্ম্ম করিলে চিরকাল নাম থাকে। তাহার প্রমাণ রাজা হরিশ্চন্দ্র, দাতা কর্ণ ও রাজা বিক্রমাদিত্য, বহুকাল হইল ইহার পরলোক গমন করিয়াছেন, মৃত্যুকালে কোন দ্রব্য সঙ্গে লইয়া যান নাই। কিন্তু তাঁহারা সংসারে আসিয়া দান পরোপকার। এবং ধর্ম্মানুষ্ঠান করিয়াছিলেন। এই জন্যই তাঁহাদের নাম অদ্যাপি জগতে জাজ্বল্যমান রহিয়াছে, এবং এই জন্যই তাহারা চিরকাল বৈকুণ্ঠবাসী হইয়া রহিয়াছেন সন্দেহ নাই। ভোজরাজ কহিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য কি উত্তম কর্ম্ম করিয়াছিলেন তাহা বর্ণনা কর। বিদ্যাবতী কহিতে লাগিল।

 এক দিবস রাজা বিক্রমাদিত্য সভায় বসিয়া আছেন এমত সময়ে তাহার এক পরিচারিণী আসিয়া কহিল, মহারাজ পূজার সময় অতীত হইতেছে, আসিয়া পূজা ১৬