পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যড়িংশ পুত্তলিকা।
১৮৩

তাহার পরে মহাদেবের স্থানে তৎসংবাদ কহিলে, তিনি আজ্ঞা করিলেন অমৃত দ্বারা তাহাদের প্রাণদান কর। দূত শিবাজ্ঞায় ভস্মে অমৃত প্রেক্ষণ করিতে লাগিল, তাহাতে সকল তপস্বী ভস্ম হইতে উঠিয়া শিবের ধন্যবাদ করিতে লাগিলেন।

 কিন্তু রাজার ভস্মে অমৃত প্রেক্ষিত হয় নাই, তাহাতে তপস্বীগণ একত্র হইয়া মহাদেবকে স্তুতি পূর্ব্বক বলিলেন, আপনি ভক্তের ঈশ্বর এবং অনাথের নাথ, যাহারা আপনার তপস্যা করিতেছিল তাহাদের জীবন দান করিলেন, কিন্তু আমাদের সঙ্গে এক নৃপতি তপস্যা করিতে ছিলেন, তাঁহার প্রতি আপনার কি আজ্ঞা হইল। এই কথায় মহাদেব দূতগণের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন। দূতগণ তাঁহার অভিপ্রায় বুঝিয়া পুনর্ব্বার অমৃত আনয়নপূর্ব্বক রাজার প্রাণ দান করিল। রাজা প্রাণদান পাইয়া তৎক্ষণাৎ গাতলাখানপর্ব্বক করপুটে দণ্ডায়মান হইয়া মহাদেবের স্তুতি করিতে লাগিলেন। হে দেবাদিদেব, হে বিশ্বেশ্বর, আপনি সংসারের তাবৎ জীবের সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় করিতেছেন, আপনি ভিন্ন এই সংসার সমুদ্র পার হইবার আর কোন উপায় নাই। পৃথিবীতে আসিয়া যে ব্যক্তি আপনাকে জানিতে না পারে তাহার জন্ম গ্রহণ বৃথা। মহাদেব রাজার স্তুতি শুনিলেন। পরে আর আর তপস্বীগণ যে যাহা প্রার্থনা করিল তাহা তাহাকে দিলেন। তাহার বিদায় হইলে, পরমেশ্বর ক্ষিতীশ্বরকে কহিলেন তােমার কি অভিলাষ