পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যড়িংশ পুত্তলিকা।
১৮৫

জানিবে তাহার ছয় মাস পরে তোমার মৃত্যু হইবে। এবং তখন তুমি আমার নিকটে আসিও। ইহা বলিয়া মহাদেব কৈলাস ধামে গমন করিলেন।

 রাজা পুষ্প লইয়া স্বীয় রাজধানীতে আসিলেন। কয়েক বৎসর পরে ঐ কমল মলিন হইতে লাগিল। তখন রাজা বুঝিলেন ছয় মাস পরে তাহাকে ইহলোক ত্যাগ করিতে হইবে। অতএব স্ত্রী পুত্র গণের ভরণ পোষণেপযুক্ত ধন রাখিয়া অবশিষ্ট তাবদ্ধন এবং রাজ্য সম্পত্তি ব্রাহ্মণগণকে উৎসর্গ করিয়া দিলেন। তদনন্তর রাজা সশরীরে স্বর্গে গমন করিলেন।

 পুত্তলিকা কহিল, হে ভোজরাজ দেখ রাজা বিক্রমাদিত্য এই সকল কর্ম্ম করিয়াছিলেন, এবং জন্ম মৃত্যু উভয়কে চিনিয়াছিলেন। অতএব তুমি কেন ভান্ত হইতেছ। দেখ, এই পৃথিবীতে কাহারো চিরকাল বাঁচিবার ভরসা নাই, জন্ম মাত্রেই তাহার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু আসিয়াছে। দুঃখ সুখ পাপ পুণ্য সকলি শরীরের সঙ্গী, গুণ অগুণ জ্ঞান অজ্ঞান সর্ব্ব ঘটেই আছে, এবং নিরাকার এক ব্রহ্ম সকল জীরেতেই আছেন। তুমি এ সিংহাসনে বসিবার বাসনা পরিত্যাগ করিয়া, আপনাকে চিরস্মরণীয় করিবার উপায় দেখ। মনুষ্যের কীর্তিই চিরস্মরণীয় হইবার উপায়।

 এই সকল কথায় সে দিবসও গত হইল। ভোজরাজ সিংহাসনোপবেশনে নিরাশ হইয়া অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন। পরদিবস সুর্যোদয় হইলে স্নান অতএব