পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টাবিংশ পুত্তলিকা।
১৯১

অমৃত লইয়া রাজা বিক্রমাদিত্যের অঙ্গে প্রোক্ষণ করিতে লাগিল। তাহাতে তিনি পুনর্জীবিত হইলে, তাহাকে রাজাজ্ঞা বিজ্ঞাপন করিল। বিক্রমাদিত্য কহিলেন আমাকে একথা বলিয়া কেন প্রতারণা করিতেছ, আমি একথায় প্রত্যয় করিনা, আমি এখনি রাজার সহিত সাক্ষাৎ করিব। ভূতগণ বলিরাজাকে, এই সমস্ত বিক্রমাদিত্যের বাক্য জানাইলে, বলিরাজা কোন উত্তর করিলেন না। রাজা বিক্রমাদিত্য বিলম্ব দেখিয়া পুনর্ব্বার আপনার শিরচ্ছেদন করিলেন। বলিরাজা পুনর্ব্বার ভূত দ্বারা অমৃত প্রেরণ করিলেন, এবং বলিলেন তাহকে বুঝাইয়া বল এখন প্রস্থান করুন। রাজদূত আসিয়া অমৃত দ্বারা তাহার জীবন দানপূর্ব্বক, রাজা জ্ঞাপন করিল। বিক্রমাদিত্য তাহা মানিলেন না।

 অনন্তর বলিরাজার মন্ত্রীগণ একবাক্যে বলি রাজাকে বলিলেন মহারাজ, বিক্রমাদিত্যকে নিরাশ করিওনা, কেননা তিনি অতিশয় সাহস প্রকাশ করিয়াছেন। মন্ত্রীগণের মন্ত্রণায় বলিরাজা সিংহাসন হইতে গাত্রোত্থানপূর্বক দ্বার দেশে আসিলেন। বিক্রমাদিত্য তাহার দর্শন পাইয়া কৃতাঞ্জলি পূর্বক কহিলেন মহারাজ, আমাকে ধন্য, আমার অদৃষ্টকে ধন্য, আপনাকে দর্শন করিয়া আমার জন্ম সার্থক হইল। কিন্তু মহারাজ, আমার কি অপরাধ হইয়াছিল যে আমাকে অগ্রে দর্শন দেন নাই, আমি কি সাহসী কিম্বা দাতা নহি। আমি এমত কি পাপ করিয়াছিলাম যে আমার