পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯২
বত্রিশ সিংহাসন
১৯২

প্রতি আপনি বিরূপ হইয়াছিলেন। বলিরাজা বলিলেন অহে বিক্রমাদিত্য তোমার তুল্য সদণশালী মনুষ্য পৃথিবীতে আর নাই, যথার্থ। কিন্তু তোমাকে যেজন্য দর্শন দিই নাই তাহার কারণ শুন, রাজা হরিশ্চন্দ্র অত্যন্ত দাতা ও সাহসী ছিলেন, এবং গজরাজাও দাতা ও প্রতাপশালী ছিলেন, তাহারা অনেক দান ও সাহস কর্ম্ম করিয়াছিলেন, ইহাতে তাহারা আমার দর্শন পায়েন নাই। তুমি হঠাৎ আসিয়া আমার সহিত সাক্ষাৎ করিবে এমত কি কর্ম্ম করিয়াছ, কিন্তু এক্ষণে তোমার অতি কঠোর তপস্যা দর্শন করিয়া তোমাকে দর্শন দিতে হইল।

 রাজা বিক্রমাদিত্য বিনয়পূর্ব্বক কহিলেন মহারাজ আপনি যাহা অজ্ঞা করিতেছেন, যথার্থ। আমি এক্ষণে বিলক্ষণ জানিতেপারিয়াছি আপনি আমাকে দর্শন দিয়া অনেক দয়া প্রকাশ করিলেন, এবং আপনার কৃপাতে আমি অবশ্যই ভবসাগরে পার পাইতে পারিব। বলিরাজা কহিলেন বিক্রমাদিত্য তুমি এইক্ষণে বিদায় হও, এবং আপন রাজ্যে গিয়া রাজকার্য কর। বিদায়ের কথায় রাজা বিক্রমাদিত্য বিমর্শ হইলেন। তাহাতে বলিরাজা এক রত্ন আনাইয়া তাহার হস্তে অর্পণ করিয়া বলিলেন তুমি এই রত্ন লও, ইহার স্থানে যখন যাহা যাচ ঞা করিবে তৎক্ষণাৎ তাহা পাইবে। বিক্রমাদিত্য ঐ রত্ন গ্রহণ পূর্ব্বক বলিরাজাকে প্রণাম করিয়া, বেতালের স্কন্ধারোহণে স্বীয় রাজধানীতে আসিলেন।

 রাজা রাজধানীর অনতিদুরে আসিয়া দেখিলেন