পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৬
বত্রিশ সিংহাসন

কিছুর অভাব নাই। কিন্তু এক দ্রব্য যাচাএর জন্য আমি এখানে আসিয়াছি, যদি কৃপা করিয়া দেন তবে তাহা প্রকাশ করিতে পারি। যোগী বলিলেন তোমার যে বস্তুর প্রার্থনা থাকে বল, আমি অবশ্য দিব। রাজা বলিলেন যদি আমার প্রতি এতাদৃশী দয়া প্রকাশ করিলেন তবে আমাকে এই অট্টালিকা প্রদান করিতে আজ্ঞা হউক। তপস্বী বচনবদ্ধ হইয়াছিলেন, সুতরাং অনিচ্ছক হইয়াও অন্যথা করিতে না পারিয়া, তৎক্ষণাৎ তাহাকে অট্টালিকা দিলেন। আপনি উদাসীন হইয়া নানা তীর্থে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন।

 রাজা অট্টালিকা পাইয়া হৃষ্টান্তঃকরণে সিংহাসনে উপবেশন করিলেন। কামিনীগণ, তপস্বীর অগ্রে যে প্রকার গান বাদ্য করিতেছিল সেই প্রকার করিতে লাগিল। রাজা তথায় বাস করিয়া নানা প্রকার সুখ সম্ভোগ করিতে লাগিলেন।

 যোগী রাজাকে অট্টালিকা দান করিয়া মনে মনে অতিশয় দুঃখিত হইলেন। এবং, তীর্থ পর্যটন করিতে করিতে যাহার সহিত সাক্ষাৎ হইত তাহাকেই আপনার দুঃখের কথা বলিয়া আক্ষেপ করিতেন। একদা এক তীর্থে উপস্থিত হইয়া এক তপস্বীকে আপনার দুঃখের বৃত্তান্ত কহাতে, তপস্বী বলিলেন যদি তোমার ঐ অট্টালিকা পুনগ্রহণের বাসনা থাকে তবে ছদ্মবেশে রাজার স্থানে গিয়া তাহা যাচ ঞা কর, রাজা অতিশয় দাতা, অনায়াসে তোমাকে তাহা দিবেন।