সভাসদ গণ বিক্রমাদিত্যের বিনাশের এই সকল কুচক্র দেখিয়া মনে মনে অনেক বিলাপ করিতে লাগিলেন। ক্ষত্রিয়গণ কহিলেন এই প্রকার কুচক্র দ্বারা মহাপ্রাণী বধ করা ক্ষত্রিয়-ধর্ম্ম-বিরুদ্ধ। অনন্তর শঙ্কু বিক্রমাদিত্যকে আহ্বান করিয়া বলিলেন আইস আমরা একত্রে বসিয়া সশা ভক্ষণ করি। বিক্রমাদিত্য সর্ব্বশাস্ত্রে সুপণ্ডিত, যোগ দ্বারা শঙ্কুর চক্রান্ত বুঝিয়া রেখাতে পাদক্ষেপ না করিয়া সাবধানে তাহার নিকটে আসিলেন এবং দক্ষিণ হস্তে ছুরিকা ও বাম হস্তে সশা গ্রহণ করিলেন। পরে শঙ্কু যেমন অন্যমনস্ক হইয়াছেন সেই সময় ঐ ছুরিকা দ্বারা তাহাকে এমত আঘাত করিলেন যে তাহাতে একবারে তাহার প্রাণান্ত হইল এবং চক্রান্ত ও বিপরীত-ফল-জনক হইল।
এতাৰদৰ্শন করিয়া রত্নমঞ্জরী পুত্তলী ভোজরাজকে কহিল মহারাজ পরমেশ্বর ইচ্ছা করিলে তৃণকে পর্ব্বত ও পর্ব্বতকে তৃণ করিতে পারেন। আর শাস্ত্রের লিখন কখন অলীক হয় না। মাতৃগর্ভে মনুষ্যের জন্ম গ্রহণ কালে তাহার ভবিষ্যৎ সুখ দুঃখ ও শুভাশুভ নির্দিষ্ট হয়, তদনুসারে তাহার সুখ দুঃখ ও শুভাশুভ প্রাপ্তি হইয়া থাকে। অতএব রাজা বিক্রমাদিত্যের অদৃষ্টে যাহা ছিল তাহাই ঘটিল। তিনি তাকে সংহার করিয়া তাহার শোণিতে তিলক করিয়া অস্বাবতী নগরের ভূপতি হইলেন। শঙ্কু রাজার পত্নী পতি-বিয়োগে পতির সহিত সহমৃত হইলেন। রাজা বিক্রমাদিত্য রাজ্য