পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৪
বত্রিশ সিংহাসন।

রাজা অতিশয় লড়িত হইয়া মনে মনে আপনাকে ধিক্কার দিতে লাগিলেন। তৎপরে পুত্তলিকা কহিলা হে ভোঙ্গরাজ আমি তোেমাকে রাজা বিক্রমাদিত্যের এক দিবসের বৃত্তান্ত কহিতেছি শ্রবণ কর।

 রাজা বিক্রমাদিত্যের মৃত্যুকাল নিকটবর্তী হইলে, তিনি তাহা জানিতে পারিয়া, বাই নগরে জাহুবীতটে এক অট্টালিকা নির্মাণ করাইয়া, তথায় বাস করিতে লাগিলেন। তাবৎ রাজধানীতে ঘোষণা করিয়াদিলেন যাহার যাহা যাচ ঞা করিতে ইচ্ছা হয়, তাহারা তাহার নিকটে যাইয়া প্রকাশ করুক। এই সংবাদ পাইয়া যাবতীয় ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ও ভাট ভিক্ষুক তাহার নিকটে উপস্থিত হইল। তাহারা যে যাহা প্রার্থনা করিল রাজা তাহাদিগকে দিতে লাগিলেন।

 দেবতাগণ রাজার এইরূপ দানের বৃত্তান্ত শুনিয়া তাঁহার দানশীলতার পরীক্ষাজন্য নানা বেশ ধারণ পূর্ব্বক তাহার নিকটে উপস্থিত হইলেন, এবং যাহার তাহ যাচ ঞা করিলেন। রাজা বিক্রমাদিত্য তাহাদের ইচ্ছানুযায়ী, যিনি যাহা চাহিলেন তাহাই দিলেন। দেবগণ তুষ্ট হইয়া রাজাকে আশীর্বাদপূর্ব্বক বলিলেন বিক্রমাদিত্য, তুমি ধন্য, তোমার মাতা পিতাও ধন্য। তুমি যে কীর্তি করিলে তাহাতে স্বর্গ মর্ত্য পাতালে তোমর নাম চিরকাল স্মরণীয় হইল। রাজা হরিশ্চন্দ্র সত্যযুগে অতি সত্যবাদী ছিলেন, ত্রেতাযুগে বলিরাজা অনেক দান করিয়া