পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৬
বত্রিশ সিংহাসন।

এই কথা বলিতে বলিতে হরিণ তৎক্ষণাৎ মৃগদেই পরিত্যাগ ও দ্বিজদেহ ধারণ পূর্বক রাজাকে যথোচিত সম্বন্ধ না করিয়া স্বস্থানে প্রস্থান করিল। রাজা তাহার শব জাহ্নবীনীরে নিক্ষেপ করিয়া, তাহার পুণ্যার্থে দীন দরিদ্র অনাথদিগকে অনেক অর্থ বিতরণ করিলেন।

 পুত্তলিকা কহিল হে ভোজরাজ তুমি রাজা বিক্রমাদিত্যের তুল্য কোন প্রকারে হইতে পারিবে না। ততুল্য ব্যক্তি ব্যতিরিক্ত অন্য কাহারও এই সিংহাসনের অধিকার নাই। অতএব তুমি তাহার এই সিংহাসনে বসিবার বাসনা একবারে পরিত্যাগ কর। এবং, যেস্থান হইতে এই সিংহাসন আনয়ন করিয়াছ সেই স্থানেই পুনর্ব্বার স্থাপন করাও।

 এই কথায় ভোজরাজ সিংহাসনোপবেশনে নিতান্ত নিরাশ হইয়া অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন। এবং, সমস্ত দিবারাত্র অতিমাত্র চিন্তায় মগ্ন থাকিলেন। পর দিবস প্রত্যুষে সন্ন্যাসীর বেশে সিংহাসন সমীপে আসিলে,

ভানুমতী দ্বাত্রিংশ পুত্তলিকা

কহিল, হে ভোজরাজ, আমি তোমাকে এক শেষ কথা বলিতেছি, মনোযোগ পূর্ব্বক শ্রবণ কর। রাজা বিক্রমাদিত্যের মৃত্যু হইলে তিনি ইন্দ্রলোকে গমন করিলেন, তাল বেতালও তাহার সঙ্গে সঙ্গেই অন্তর্হিত হইল। স্বর্গ মর্ত্য পাতাল ত্রিলোকীমধ্যে এই জনরব হইল যে, পৃথিবীর আদিত্য রাজা বিক্রমাদিত্য ইহলোক পরিত্যাগ