পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রথম পুত্তলিকা ।
২১

দাও। মন্ত্রী কহিলেন আমাদিগের রাজার এমত রীতি নাই, যে কোন ব্যক্তি সাক্ষাৎ করিবার অভিলাষে আসিলে তাহাকে আপনি যাইতে বলেন। অতএব তুমি স্বয়ং বিদায় প্রার্থনা কর, আর যে মনােবাঞ্ছা থাকে তাহাও প্রকাশ করিয়া বল, তাহাতে কোন শঙ্কা করিও। বিক্রমাদিত্য বলিলেন আমার কোন অভিলাষ নাই, বরঞ্চ অন্য কোন ব্যক্তির যদি কোন প্রার্থনা থাকে তাহা আমাকে বলুক। মন্ত্রী বলিলেন মহারাজ আমার কথা শ্রবণ কর, এই রাজার গৃহে এক অপূর্ব্ব সিংহাসন আছে, পূর্ব্বকালে ঐ সিংহাসন দেবদিদেব মহাদেব দেবরাজ ইন্দ্রকে দিয়াছিলেন, পরে ইন্দ্র তাহা বাহুবল রাজাকে দিয়াছেন। ঐ সিংহাসনের অতি চমৎকার গুণ, যে ব্যক্তি তাহাতে উপবেশন করেন তিনি সপ্তদ্বীপ পৃথিবীর অজেয় রাজা হয়েন। ঐ সিংহাসন নানাবিধ রত্নে খচিত এবং অমর্ত্য নির্মিতা অতি অপূৰ্বরূপ বত্রিশ পুত্তলিকা তাহা ধারণ করিয়া আছে। তুমি বিদায় কালে রাজার স্থানে ঐ সিংহাসন প্রার্থনা করিও, তাহা হইলে চিরকাল অখণ্ড সাম্রাজ্য ভােগ করিতে পারিবে।

 এই পরামর্শ প্রদানের পর মন্ত্রী পরদিবস ত্যুষে রাজ-সভায় উপস্থিত হইয়া বলিলেন মহারাজ রাজা বিক্রমাদিত্য বিদায়নিমিত্ত আপনকার দ্বারে দণ্ডায়মান আছেন। এই সংবাদে বাহুবল রাজা তখনি দ্বারের নিকটে আসিলে, বিক্রমাদিত্য নতশিরা হইয়া তাহাকে