পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২২
বত্রিশ সিংহাসন।

প্রণাম করিলেন। বাহুবল রাজা বলিলেন তােমার যাহা অভিলাষ থাকে কহ, আমি তাহা পূর্ণ করিব। বিক্রমাদিত্য কহিলেন মহারাজ যদি আমার প্রতি প্রসন্ন হইয়া থাকেন তবে আমি এই প্রার্থনা করি দেবরাজ আপনাকে যে সিংহাসন দিয়াছিলেন আপনি সানুগ্রহ হইয়া আমাকে তাহা দান করুন। রাজা বাহুবল বলিলেন এই সিংহাসনের কথা তুমি কি প্রকারে জানিতে পারিলে, বােধ করি, মন্ত্রির স্থানে শুনিয়া থাকিবে। যাহা হউক আমি তােমাকে সেই সিংহাসন দিলাম। ইহা বলিয়া সেই সিংহাসন আনয়ন করাইয়া বিক্রমাদিত্যকে রাজ-তিলক প্রদান পূর্ব্বক তদুপরি উপবেশন করাইলেন, এবং বলিলেন তুমি অদ্বিতীয় ও অজেয় রাজা হইলে, কোন বিষয়ে অন্তঃ করণে ক্ষোভ করিও না, গন্ধর্ব্বসেন আমার পরম বন্ধ, ছিলেন, তুমি তাহার বংশের তিলক হইবে। এই প্রকার আশীৰ্বাদ পূর্ব্বক রাজা বিক্রমাদিত্যকে বিদায় করিলেন।

 রাজা বিক্রমাদিত্য অত্যন্ত আহলাদিত হইয়া তথা হইতে গৃহে প্রত্যাগমন করিলেন। রাজ্যস্থ তাবৎ প্রজা তাহার সৌভাগ্য শুনিয়া আনন্দ সাগরে মগ্ন হইল। শত্রুগণ ভয়ে কম্পানৃিতকলেবর হইল। এবং নানা দ্বীপ দ্বীপান্তর হইতে সুহৃৎ রাজা সকল তাঁহার সহিত শুভ সাক্ষাৎ করিতে আসিলেন। তদবধি সকল রাজা তাহাকে আরাে মান্য করিতে লাগিলেন। যাহারা