পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বিতীয় পুত্তলিকা।
২৫

 পর দিবস রাজা প্রাতঃকালে গাত্রোখান করিয়া পুনর্ব্বার সিংহাসনােপবেশনে ব্যগ্রচিত্ত হইয়া মন্ত্রীকে অবিলম্বে সভা করিতে আজ্ঞা দিলেন। মন্ত্রী কহিলেন মহারাজ এত ব্যস্ত হইয়াছেন কেন, বােধ হয় সিংহাসনের প্রত্যেক পুত্তলিকা এক এক প্রবন্ধ কহিবে, অতএব তাহা শুনিয়া যাহা কর্ত্ত হয় করিবেন। রাজা সে বাক্যে কর্ণপাত না করিয়া সিংহাসনারূঢ় হইবার জন্য পদ প্রসারণ করিলেন। তখন


চিত্ররেখা দ্বিতীয় পুত্তলিকা

বলিল হে রাজন, তুমি এই সিংহাসনােপবেশনের যােগ্য পাত্র নহ। তুমি যেরূপ নীতি-বিরুদ্ধ কর্ম্ম করিতে উদ্যত হইয়াছ এমত কেহ কখন করে না। যিনি রাজা বিক্রমাদিত্যের তুল্য সর্ব্ব-গুলিস্কৃত তিনি এই সিংহাসনে বসিবার যােগ্য। রাজা কহিলেন বিক্রমাদিত্যের কি গুণ ছিল। পুত্তলিকা বলিতে লাগিল।

 রাজা বিক্রমাদিত্য তাবৎ জম্বুদ্বীপের অধিপতি হইয়া মনে মনে বিবেচনা করিলেন পৃথিবীস্থ প্রজাবর্গ। কি অবস্থায় অবস্থিতি করিতেছে একবার স্বচক্ষে দেখা উচিত, অতএব তিনি দেশ ভ্রমণে প্রবৃত্ত হইলেন। এস্থলে ইহাও কথিত আছে এক যােগী তাহাকে যােগ সাধনের পরামর্শ দিয়া দেশ-ভ্রমণে প্রবৃত্ত করেন।