পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বিতীয় পুত্তলিকা।
২৭

ফল দিয়া তাঁহার নিকট হইতে কিঞ্চিৎ অর্থ লইয়া আইস, তাহা হইলে জঠরজ্বালা নিবারণের উপায় হইবেক।

 সহধর্মিণীর এই বাক্য শুনিয়া ব্রাহ্মণ মনে মনে বিবেচনা করিলেন একথা প্রকৃত, আমাদের পক্ষে সংসার কেবল যন্ত্রণা মাত্র হইয়াছে, অতএব এ ফল ভক্ষণ করিয়া চিরজীবী হইলে বিপরীত ফলই হইবে। ইহা ভাবিয়া ব্রাহ্মণ রাজা ভর্তৃহরির সমীপে গমন করিলেন, এবং রাজদ্বারে উপস্থিত হইয়া দ্বারবানকে কহিলেন রাজাকে বল, এক ব্রাহ্মণ এক ফল লইয়া আসিয়াছেন। দ্বারপাল রাজার নিকটে সংবাদ করিলে তিনি তৎক্ষণাৎ ব্রাহ্মণকে সভাতে আনয়ন করিতে অজ্ঞা দিলেন। ব্রাহ্মণ রাজসভায় উপনীত হইয়া ধর্ম্ম লাভ হউক বলিয়া রাজাকে আশীৰ্বাদ করিলেন, এবং রাজার হস্তে ঐ ফল প্রদান করিলেন। রাজা তাহা লইয়া ব্রাহ্মণকে জিজ্ঞাসা করিলেন এই ফলের কি গুণ। ব্রাহ্মণ কহিলেন মহারাজ আমি বহুকাল তপস্যা করিয়াছিলাম, দেবতা তুষ্ট হইয়া বর স্বরূপ এই ফল আমাকে দিয়াছেন, ইহার নাম অমর ফল, ইহা ভক্ষণ করিলে যমদণ্ড হইতে নিষ্কতি হয়। কিন্তু আমি চির-দুঃখী, আমার অমর হওয়া বিড়ম্বনা মাত্র। তুমি লক্ষ লক্ষ জীবের প্রতিপালন করিতেছ, অতএব তােমাকে এই ফল দিলাম, ভক্ষণ করিয়া চিরকাল সুখে রাজ্যভােগ কর এবং চিরকাল প্রজাগণ তােমার অধীনে থাকিয়া সুখভােগ করুক। রাজা ফললাভে অপরিসীম