পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
বত্রিশ সিংহাসন

করিতেছি। ইহাতে যখন ঐ যােগী নতমস্তক হইয়া প্রণাম করিবেক তখন তুমি খজ দ্বারা তাহার মস্তকচ্ছেদন, করিও, আর দেবীর সম্মুখে প্রজ্বলিত অগ্নির উপর যে উত্তপ্ত তৈল-কটাহ আছে তাহাতে ঐ যােগীর শব এবং বৃক্ষ হইতে তৈলকারের শব আনিয়া উভয়কে নিক্ষেপ করিও।

 এবংবিধ উপদেশ প্রদান পূর্ব্বকযক্ষ অন্তর্হিত হইল। রাজা আপন ভবনে আসিলেন। রাত্রি প্রভাত হইলে নগরে সংবাদ হইল রাজা বিক্রমাদিত্য স্বদেশে প্রত্যাগত হইয়াছেন। মন্ত্রী প্রভূতি তাবৎ কর্ম্মকারক আনন্দিত হইয়া রাজার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিল। তাবৎ নগরে ও প্রত্যেক আলয়ে মঙ্গলাচরণ এবং রাজবাটীতে মহােৎসব ও বাদ্যোদ্যম হইতে লাগিল। এইরূপে কিয়ৎকাল অতীত হইলে এক দিবস এক যােগী রাজসভায় উপস্থিত হইয়া রাজাকে আশীৰ্বাদ পর্ব্বক তাহার হস্তে এক ফল প্রদান করিল। রাজা তাহা সহাস্য বদনে গ্রহণ করিলে, যােগী কহিল আমার কুটীরে যজ্ঞ হইতেছে, আমি আপনাকে নিমন্ত্রণ করিতে আসিয়াছি। রাজা নিমন্ত্রণ স্বীকার পূর্বক কহিলেন আমি সন্ধ্যার সময় তােমার আলয়ে উপস্থিত হইব, তােমার আশ্রম কোথায় বল। অনন্তর যােগী আপন বাসস্থানের পরিচয় দিয়া প্রস্থান করিল।

 দিবাবসানে রাজা কাহাকেও কোন কথা না বলিয়া খ্ড়গ চর্ম লইয়া একাকী যােগীর যাগ-ভূমিতে গমন