পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ পুত্তলিকা।
৪৫

কহিলেন হে নর-শ্রেষ্ঠ তােমার ধর্মকে ধন্যবাদ করি। ইহা বলিয়া কমলা অন্তর্হিত হইলেন। তদনন্তর রাজা শয়ন করিলেন। পরে তৃতীয় প্রহর রাত্রির সময় রাজলক্ষ্মী পুনর্ব্বার আসিয়া রাজার সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়া কহিলেন মহারাজ আমি কোথায় বর্ষণ করিব। রাজা কহিলেন আমার শয়নের পালঙ্ক ত্যাগ করিয়া যথা ইচ্ছা বর্ষণ কর। তদনন্তর তাবগরে স্বর্ণবৃষ্টি হইল। পরদিবস রাজা শয্যা হইতে গাত্রোথান করিয়া দেখিলেন চতুর্দিকে স্বর্ণ বৃষ্টি হইয়াছে। তাহাতে মনে মনে বিবেচনা করিলেন প্রজাদিগের ধন-কষ্ট নিমিত্ত এক দুর্ভাবনা ছিল এইক্ষণে তাহা দূর হইল, অতএব কিছু কাল সুখে কাল যাপন করিতে পারিব। তদনন্তর মন্ত্রী আসিয়া নিবেদন করিলেন মহারাজ সমুদয় নগরে স্বর্ণবর্ষণ হইয়াছে, অতএব যেরূপ আজ্ঞা করেন তাহা করি। রাজা কহিলেন নগরে ডিণ্ডিম প্রচার করিয়া দাও, যাহার সীমাতে যত স্বর্ণ পড়িয়াছে সে তাহা লয় এবং কেহ কাহার প্রতি অত্যাচার না করে। রাজার এই আজ্ঞাপ্রাপ্তে প্রজাগণ স্বস্ব গৃহ স্বর্ণে পরিপূর্ণ করিল।

 পুত্তলিকা এই আখ্যায়িকা সমাপন করিয়া ভােজরাজকে কহিল, রাজা বিক্রমাদিত্য এই রূপ দাতা ও প্রজার হিতকারী ছিলেন। অতএব তােমার কি গুণ আছে যে তাহার সিংহাসনে বসিতে বাঞ্ছ।