পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
বত্রিশ সিংহাসন।

লক্ষ প্রাণী দুঃখ পাইতেছে। সখীর এই বাক্যে রাজার জ্ঞানােদয় হইল, এবং রাজ্যের চিন্তা করিতে করিতে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন এখান হইতে প্রস্থানের উপায় কি। সখী উত্তর করিল রাজকন্যার অশ্বশালাতে একটা বড় অশ্বিনী আছে, ঐ অশ্বিনী দিবারাত্র সমান ভাবে গমন করিতে পারে, তুমি সেই অশ্বিনীতে আরােহণ করিয়া প্রস্থান কর, নতুবা যাইবার আর অন্য উপায় নাই।

 রাজা পর দিবস রাজ্ঞীর সমভিব্যাহারে অশ্বশালাতে যাইয়া অশ্ব সকল নিরীক্ষণ করিতে করিতে উত্তম উত্তম অশ্বের প্রশংসা করিলেন। রাণী কহিলেন ইহার মধ্যে তােমার যে অশ্বে আরােহণের অভিলাষ হয় তাহাতে আরােহণ করিয়া ভ্রমণ কর। পর দিবস রাজা একটা অশ্বে আবােহণ করিয়া রাণীর সাক্ষাতে অশ্ব চালাইতে লাগিলেন। রাণী তাহা দেখিয়া তুষ্ট হইলেন। এইরূপে কতিপয় দিবস গত হইলে রাজা, দাসীর মুখে যে ঘােটকীর বিবরণ শুনিয়া ছিলেন তাহার পৃষ্ঠে আরােহণ করিলেন। রাণী তাহার অভিপ্রায় না জানিয়া সতর্ক হইতে পারেন নাই। তাহাতে রাজা ঐ অশ্বিনীতে আরোহণ করিয়া কশাঘাত করাতে, অশ্বিনী রাজাকে লইয়া বায়ুবেগে গমন করিল, আর ফিরিল না। রাণী ও সখীগণ অনুতাপ করিতে লাগিলেন।

 রাজা অম্ববতী নগরে উপনীত হইয়া দেখিলেন