পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
বত্রিশ সিংহাসন

পবব্ত আছে, এবং তাহার পরে এক সরােবরে একস্ফটিকের স্তম্ভ আছে। ঐ স্তম্ভ সুর্য্যোদয় কালে সরােবর হইতে উচ্চ হইতে আরম্ভ হয় এবং সুর্য্য যেমন উর্ধে গমন করেন স্তম্ভও সেই প্রকার ক্রমশঃ উর্ধে বৃদ্ধি পাইতে থাকে, মধ্যারুকালে তাহা সুর্য্যরথের নিকটবর্তী হয়, তখন সূর্য্যদেব রথ স্থগিত করিয়া স্তম্ভের উপর গিয়া আহার করেন। পরে যথােপরি আরোহণ করিলে, রথ যেমন গমন করে স্তম্ভও ক্রমে ক্রমে তেমনি হ্রস্ব হইয়া সন্ধ্যার সময় পুষ্করিণীতে একবারে লীন হয়। এই আশ্চর্য স্তম্ভ এখন পর্যন্ত কেহ দেখেন নাই। অন্যে কি, দেবতা বা গন্ধর্ব্ব ইহারাও তাহার সমাচার জানেন না।

 রাজা ব্রাহ্মণের স্থানে এই কথা শুনিয়া তাহা কাহারও সাক্ষাতে প্রকাশ না করিয়া, ব্রাহ্মণকে কিছু অর্থ প্রদানপূর্বক বিদায় করিলেন। পরে তাল বেতালকে স্মরণ করিলেন। তাহারা উপস্থিত হইয়া কহিল মহারাজ কিঙ্করেরা উপস্থিত, আমাদিগের প্রতি কি আজ্ঞা হয়। স্বর্গ পাতাল বা সমুদ্র-পার যেখানে ইচ্ছা হয়, আজ্ঞা করুন, আমরা সেই খানে আপনাকে লইয়া যাইতেছি। রাজা ঈষদ, হাস্য পূর্বক বলিলেন এক কৌতুক দর্শনে উত্তর খণ্ডে গমন করিতে হইবে, তথায় তােমরা আমাকে লইয়া চল। ইহা বলিয়া রাজা তাহাদিগের স্কন্ধে আরােহণ করিলেন। তাল বেতাল তাহাকে স্কন্ধে লইয়া শূন্য দিয়া মুহু