পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ পুত্তলিকা।
৫৭

ত্তেকের মধ্যে সেই স্থানে উপস্থিত হইল। দেখিলেন সরােবরের চারি দিকে চারি পাষাণময় ঘাট আছে, হংস ও বক প্রভৃতি নানা জাতীয় জলচর পক্ষিগণ আনন্দে ক্রীড়া করিতেছে, ডাহুক চকোর প্রভৃতি অন্যান্য বিহঙ্গমেরা নানাবিধ মধুর ধ্বনি করিতেছে, প্রফুল্ল কমল দল মধ্যে ভ্রমরগণ ভ্রমণ করিতেছে, কোকিলগণ কুহু কুহু ধ্বনি করিতেছে, আর আর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মধুরালাপী পক্ষিগণ নানা প্রকার গান করিতেছে, গন্ধবহ কুসুম সমূহের সুগন্ধ বহন পূর্ব্বক চারি দিক আমােদিত করিয়াছে, সরােবর-তীরস্থ তরুগণ ফলভরে অবনত হইয়া আছে, এবং নানা জাতীয় পক্ষী তাহাতে বসিয়া কৌতুকে আহার বিহার করিতেছে।

 রাজা, এই মনােহর শােভা দর্শনে অত্যন্ত আনন্দিত হইয়া, সেই সরসী তীরে যামিনী যাপন করিলেন। নিশাবসানে ভানুদয় হইলে দেখিলেন ব্রাহ্মণ যে স্তম্ভের কথা কহিয়া ছিলেন সেই স্তম্ভ সরােবর হইতে উঠিতে লাগিল। তখন রাজা তাল বেতালকে কহিলেন আমাকে ঐ স্তম্ভের উপর স্থাপন করিয়া তোমরা প্রস্থান কর। তাল বেতাল আজ্ঞা মাত্র রাজাকে স্তম্ভোপরি রাখিয়া অন্তর্হিত হইল। ঐ স্তম্ভ ক্রমে ক্রমে জল হইতে উচ্চ হইতে লাগিল। তাহাতে রাজার অন্তঃকরণে ত্রাস জন্মিতে লাগিল, এবং তিনি সুর্য্যের যত নিকটবর্তী হইতে লাগিলেন তুতই তাঁহার উত্তাপে তাপিত