পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
বত্রিশ সিংহাসন।
৬০

থাকিলেন। পরিদবস বররুচি মন্ত্রীকে আহ্বান করিয়া কহিলেন অদ্য আমি কাহারাে নিষেধ শুনিব না, সিংহাসনে বসিব। কিন্তু যখন সিংহাসনে উপবেশনার্থ পাদ প্রসারণ করিলেন, তখন

কামুদী সপ্তম পুত্তলিকা

রাজার পদার্থে পতিত হইল। রাজা বিস্ময় যুক্ত হইয়া পাদ সংহার পূর্বক পুত্তলিকাকে কহিলেন তুমি কি জন্য ভূমিতে পড়িলে। পুত্তলিকা কহিল আমরা সতা যুগের অবলা, তুমি কলিযুগে অবতীর্ণ হইয়াছ। আমরা এক পুরুষের মুখাবলােকন করিয়াছি, তদ্ভিন্ন অন্য কাহারও মুখ দর্শন করি নাই, অতএব প্রথমতঃ আমাদিগের বিবরণ শ্রবণ কর। বিশ্বকর্ম্মা আমাদের জন্মদাতা। আমরা বাহুবল রাজার নিকটে বাস করিতাম, তিনি আমাদিগকে রাজা বিক্রমাদিত্যকে অর্পণ করিয়া ছিলেন। এবং রাজা বিক্রমাদিত্য আমাদিগকে গৃহে আনিয়া রাখিয়াছিলেন। যে পর্যন্ত তাহার সহিত আমাদের বিচ্ছেদ হইয়াছে সে পর্যন্ত আমরা একবার সুখী নহি, কেননা ততুল্য অতুল্য গুণশালী মনুষ্য দুল্লভ।ভোজরাজ বলিলেন বিক্রমাদিত্যের কি গুণ ছিল তাহা বর্ণন কর। পুত্তলিকা কহিল।

 এক দিবস রজনীতে রাজা বিক্রমাদিত্য স্বীয় শয়নমন্দিরে শয়ন করিয়াছিলেন, এবং নগরস্থ সমস্ত লােক এমত নিদ্রিত হইয়া ছিল যে কাহারও কিছুমাত্র শব্দ