পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পুত্তলিকা।
৬১

ছিলনা। ঐ নিশীথ সময়ে নদীর উত্তরাংশে এক স্ত্রী অতি উচ্চৈঃ স্বরে রােদন করিতে ছিল। তাহার ক্রন্দন ধ্বনি রাজার কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হইলে, রাজা মনে মনে কহিলেন আমার নগরে কোন্ দুঃখিনী আসিয়া এত রাত্রে এই প্রকার রােদন করিতেছে। ইহা বলিয়া রাজা খজ চর্ম গ্রহণ পূর্ব্বক রােদনধ্বনি লক্ষ্য করিয়া নদীতটে গমন করিলেন, এবং সন্তরণ দ্বারা নদী পার হইয়া দেখিলেন এক পরম সুন্দরী যুবতী দণ্ডায়মান হইয়া রােদন করিতেছে। ঐ যুবতীর সন্নিকট গমন করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, হে সুন্দরি তুমি কি জন্য রােদন করিতেছ, তােমার স্বামি-বিয়োেগ, কি পুত্র-শােক, হইয়াছে আমাকে বল। যুবতী কহিল আমার স্বামী চৌর্য কর্ম্ম করিতেন। পরে নগরপাল তাহাকে ধরিয়া শূল দান করিয়াছে, আমি প্রণয় বশতঃ তাহার নিমিত্ত কিঞ্চিৎ আহারীয় দ্রব্য আনিয়াছি, কিন্তু স্বামী স্তম্ভের উপরে আছেন, আমি নানা যত্ন করিয়া ও তাহাকে দিতে পারিতেছি না, এই জন্য রােদন করিতেছি। রাজা কহিলেন এ সামান্য কথা, ইহার জন্য রােদনের আবশ্যক কি। নারী কহিল এই সামান্য কর্ম্মই আমার পক্ষে দুষ্কর হইয়াছে। রাজা বলিলেন তুমি আমার স্কন্ধে আরােহণ করিয়া তােমার স্বামীকে ভােজন করাও। এই কথায় যুবতী রাজার স্কন্ধে আরােহণ করিয়া শূলস্থ চোরের মাংস ভক্ষণ করিতে লাগিল, তাহাতে তাহার মুখ হইতে রক্ত দ্বারা নির্গত হইয়া