তাবৎ বৃত্তান্ত অবগত হইয়া বণিককে আনিতে আজ্ঞা করিলেন। নগরপাল বণিককে রাজ-সাক্ষাৎকারে আনয়ন করিলে, রাজা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন। তুমি সত্য করিয়া বল এই সকল রত্ন কোথায় পাইয়াছ, তাহা হইলে তােমাকে আরাে ধন দিব, কিন্তু মিথ্যা কহিলে নিৰ্বাসন করিয়া দিব। বণিক কহিল হে দীনপালক এক দিবস আমার পুত্র দ্বারে খেলা করিতেছিল, তাহাকে কোন ব্যক্তি এক পদ্ম পুষ্প দিয়াছিলেন। বালক আমার নিকট ঐ পুষ্প আনয়ন করিলে আমি তাহা আপনার নিকট রাখিলাম। রাত্রি প্রভাত হইলে ঐ পদ্ম হইতে এক মাণিক্য নির্গত হইল। এই রূপ প্রতিদিন এক এক মাণিক্য নির্গত হইয়া থাকে। অদ্যাপি ঐ পদ্ম পুষ্প আমার গৃহে আছে। রাজা বলিলেন তুমি যথার্থ কহিয়াছ, অতএব এ সকল মাণিক্য তুমি লইয়া যাও। কিন্তু নগরপাল তােমার প্রতি অতি কুব্যবহার করিয়াছে, তজ্জন্য দণ্ড স্বরূপ তােমাকে লক্ষ মুদ্রা প্রদান করিবেক। ইহা কহিয়া নগরপালের নিকট হইতে এক লক্ষ মুদ্রা লইয়া বণিককে দিলেন।
পুত্তলিকা এই আখ্যায়িকা সমাপন করিয়া বলিল মহারাজ, বিক্রমাদিত্যের এইরূপ ধর্ম্ম ও এইরূপ কর্ম্ম ছিল, তুমি অতি মূখ যে এমত ধর্ম্মশীল ও সৰ্বগুণ বিশিষ্ট রাজাকে হীন জ্ঞান করিয়া আপনাকে প্রধান রূপে গণ্য করিয়া থাক।