পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একাদশ পুত্তলিকা।
৮৫

তুমি রাজাধিপতি, সকলের পূজ্য, অতএব তােমার সেবাতে নিযুক্ত থাকিবার অভিলাষ করি। ইহা শুনিয়া রাজা বিক্রমাদিত্য তাহাকে গন্ধর্ব বিধানে বিবাহ করিলেন।

 পরে, যে নারীকে যক্ষ আক্রমণ করিয়াছিল তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন। নারী বলিল মহারাজ সমুদ্র মধ্যে ব্রহ্মপুরী নামে এক দ্বীপ আছে, তাহাকে সিংহলদ্বীপ বলে। আমি তথাকার এক ব্রাহ্মণের কন্যা। এক দিবস সহচরীসমভিব্যাহারে এক সরােবরে স্নান করিতে গিয়াছিলাম। ঐ সরােবর বৃক্ষাদিতে এমত আবৃত যে সূর্য্যেরও মুখ দর্শন হয় না। মান পূজা করিয়া গৃহে আসিব এমত সময়ে এই দৈত্য আমাকে ধরিল। দৈত্য ধর্ম্মজ্ঞান রহিত, আমি কুমারী ধর্ম্মভয়ে ভীত হইয়া ইহার ইচ্ছানুবর্ত্তিনী হই নাই, এজন্য আমাকে তদবধি যন্ত্রণা দিতেছে। তুমি রাজা, আমার ধর্ম ও কুল রক্ষা করিলে, পৃথিবীতে তােমার অতিশয় যশঃ হইবে, আমি আশীৰ্বাদ করি তোমার সহস্র বর্ষ পরমায়ু হউক, আর তােমার এমত পরাক্রম হউক যে কেহ কখন তােমাকে পরাজয় করিতে না পারে। এইরূপ অনেক আশীৰ্বাদ করিলে, রাজা তাহাকে কন্যা সম্বােধন করিলেন। পরে ঐ কন্যাকে ও মােহিনীকে সিংহাসনে বসাইয়া বেতালকে আজ্ঞা করিলেন আমাদিগকে রাজধানীতে লইয়া চল। আজ্ঞামাত্র বেতাল তাহাকে রাজধানীতে লইয়া আসিল।