পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বাদশ পুত্তলিকা।
৯৩

লিখিও। তোমার বাসস্থান কোথায় বলিয়া যাও, আমি তােমাকে সর্বদা পত্রাদি লিখিব। বলিলেন আমি অম্বাবতী নগরের রাজা, আমার নাম বিক্রমাদিত্য, আপনার যশঃশ্রবণে আপনাকে দর্শন করিতে আসিয়াছিলাম, আপনার সাহস ধর্ম্ম ও বল দেখিয়া তুষ্ট হইয়াছি, এইক্ষণে বিদায় হই।

 রাজা, মহারাজ বিক্রমাদিত্যের পরিচয় পাইয়া তাহার পদানত হইয়া কৃতাঞ্জলিপুটে বলিলেন হে রাজেন্দ্র আমি অতি কুকর্ম্ম করিয়াছি, আপনার পরিচয় না জানিয়া আপনাকে বেতনভােগী করিয়া রাখিয়াছিলাম, এজন্য আমার অপরাধ মার্জনা করিবেন। হে নৃপশ্রেষ্ঠ আপনার যেমত ধর্ম্মের কথা শুনিয়াছিলাম সেই মত দেখিলাম। আপনাকে, আপনার সাহসকে, পরাক্রমকে ও ধর্মকে ধন্য। ইহা বলিয়া রাজাকে সাতিশয় সম্মানপূর্বক বিদায় করিলেন। রাজা তাল বেতালের স্কন্ধারূঢ় হইয়া রাজধানীতে আসিলেন।

 কীর্তিমতী পুত্তলিকা এই আখ্যায়িকা সমাপন করিয়া ভােজরাজকে বলিল, মহারাজ, রাজা বিক্রমাদিত্যের এইরূপ সদগণ ও সাহস ছিল, দেখ তিনি এমত অমূল্য ঝুলি পাইয়াও অনায়াসেই দান করিলেন, এবং দান করিয়াও অন্তঃকরণে কিছুমাত্র অনুতাপ করিলেন না। সুর বা নরের মধ্যে তর্ভুল সমুণ কাহারও ছিলনা, তুমি কোন পদার্থ। এই কথা শুনিয়া ভােজ নৃপতি মোনাবলম্বী হইলেন, সিংহাসনারােহণ