গ্রন্থপরিচয়
অপ্সরী তার ইন্দ্রসভার স্বপ্নগুলি
পাঠালো তোর পাখায় ভরে।
যে গুণী তার কীতিভাঙার খেলা খেলে,
চিকণ রঙের লিখন মুছে হেলায় ফেলে,
সুর বাঁধে আর স্বর সে হারায় পলে পলে,
গানের ধারা ভোলা স্বরের পথে চলে—
ডানাতে তোর পড়ল ঝ'রে।
বৃক্ষরোপণ উৎসব শান্তিনিকেতনে প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ৩০ আষাঢ় ১৩৩৫ সালে। শ্রীমতী প্রতিমা ঠাকুরকে কবি এই উৎসবের এইরূপ বর্ণনা দিয়াছিলেন—
এখানে হল বৃক্ষরোপণ, শ্রীনিকেতনে হল হলচালন।. তোমার টবের বকুলগাছটাকে নিয়ে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানটা হল। পৃথিবীতে কোনো গাছের এমন সৌভাগ্য কল্পনা করতে পার না। সুন্দরী বালিকার সুপরিচ্ছন্ন হয়ে শাখ বাজাতে বাজাতে, গান গাইতে গাইতে, গাছের সঙ্গে সঙ্গে যজ্ঞক্ষেত্রে এল— শাস্ত্রীমশায় সংস্কৃত শ্লোক আওড়ালেন —আমি একে একে ছ’টা কবিতা পড়লুম— মালা দিয়ে, চন্দন দিয়ে, ধূপধুনে জালিয়ে তার অভ্যর্থনা হল।. তার পরে বর্ষামঙ্গল গান হল— আমি এই উপলক্ষ্যে ছোটো একটি গল্প[১] লিখেছিলুম, সেটা পড়লুম। আমার বেশভূষা দেখলে নিশ্চয় খুশি হতে। একটা কালো রেশমের ধুতি, গায়ে লাল আঙিয়া, মাথায় কালে টুপি, কাধে জরি-দেওয়া কালো পাড়ের কেঁচানো লম্বা চাদর। [৯ শ্রাবণ ১৩৩৫]
১৮৩
- ↑ বলাই:গল্পগুচ্ছ তৃতীয় খণ্ড।