পাতা:বনবাণী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বনবাণী

এই অংশের কতকগুলি গীতিকবিতার রচনাকাল―

নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়। ২৬ শ্রাবণ [ ১৩৩৬]
আয় আমাদের অঙ্গনে। শান্তিনিকেতন ২ শ্রাবণ ১৩৩৬
বক্ষের ধন হে ধরণী, ধরাে। [ জুলাই ১৯২৮ ]
হে মেঘ,ইন্দ্রের ভেরী। [ জুলাই ১৯২৮]
সৃষ্টির প্রথমবাণী তুমি, হে আলােক। [ জুলাই ১৯২৮ ]
হে পবন, কর নাই গৌণ। [ জুলাই ১৯২৮ ]
আকাশ. তােমার সহাস উদার দৃষ্টি। [ জুলাই ১৯২৮ ]
প্রাণের পাথেয় তব পূর্ণ হােক। খসড়া : ১৩ জুলাই ১৯২৮
আহ্বান আসিল মহােৎসবে। শান্তিনিকেতন ১০ শ্রাবণ ১৩৩৬
কোন্ পুরাতন প্রাণের টানে। শান্তিনিকেতন ১৩ শ্রাবণ ১৩৩৬
ঝড নেবে আয়, আয় রে আমার। শান্তিনিকেতন ৩ শ্রাবণ ১৩৩৬

নবীন

‘নবীন’ ১৩৩৭ ফান্ধনে রচিত। চৈত্রমাসে কলিকাতায় উহার গীতাভিনয় উপলক্ষে উহা প্রথম পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয়। বনবাণীতে গ্রহণের সময় কবি অনেকগুলি পুরাতন গান ও তৎপ্রাসঙ্গিক কথাবস্তু বর্জন করিয়া এবং অন্যান্য পরিবর্তন করিয়া উহাকে নূতন আকার দেন। উক্ত প্রথম পাঠ পরপৃষ্ঠা হইতে সংকলিত হইল। কিন্তু, যে গানগুলি বনবাণী গ্রন্থের অন্তর্গত বা কবির অন্য সুপ্রচলিত গ্রন্থে প্রকাশিত, সেগুলির প্রথম ছত্রই কেবল দেওয়া গেল। ‘হৃদয় আমার, ঐ বুঝি তাের বৈশাখী ঝড় আসে’[১] গানের পাঠান্তর হৃদয় আমার, ঐ বুঝি তাের ফানী ঢেউ আসে’ পুনমুদ্রিত হইল। বেদনা কী ভাষায় রে’ কবিকর্তৃক বনবাণী-সংস্করণে বর্জিত হইলেও, প্রথম প্রকাশিত নবীনের অঙ্গীভূত নবরচিত গান হিসাবে সম্পূর্ণ উদ্ধৃত হইয়াছে।

১৮৪
  1. দ্রষ্টব্য: এই গ্রন্থের পৃ. ৭৪