পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3-tricy भूनांदनौद्ध ब्रांठा श्राद्ध७ छु भांशैल ग्रूद्ध । 59g cभाद्र-6ना७, একদিকে সিদ্ধেশ্বর ডুংরি শৈলশ্রেণী, অন্যদিকে বন । টাটা-কোম্পানী এক জায়গায় পাহাড়ের গা থেকে schlist পাথর কেটে নিয়ে যাচ্ছে ; সেখানটাতে পাহাড়ের গায়ে অনেক দূর পর্য্যন্ত যেন একটা দগদগে ঘা। রাখা-মাইনস। পার হয়ে বন পাৎলা হয়ে এল। চাষা ক্ষেত, সাঁওতালী গ্রাম ডাইনে । বঁদিকে কিন্তু সেই যে পাহাড় চলেছে, তো চলেছেই । শীতকালে পত্ৰবিরল দীর্ঘ দীর্ঘ শালের গাছগুলো দেখে মনে হচ্ছে কারা যেন পাহাড়ের ওপরে শালের খু'টি পুতে রেখেছে। বঁদিকে একজায়গায় একটা নাবাল মত উপত্যক । সঙ্কীর্ণ গিরিপথের বা দিকের পাথরে সিঁদুরের দাগ লেপা। এখানকার নাম কাপড়গাদি ঘাট । পাণ্ডবেরা অজ্ঞাতবাসের সময় এই পৰ্য্যন্ত এসে আর নাকি এগোয় নি (পাণ্ডবেরা যাননি দুনিয়ায় হেন জায়গা দেখিনি ! পাণ্ডবদের পদচিহ্ন সর্বত্র ), অতএব এর ও আগের ভূভাগ হোল পাণ্ডববজিত দেশ। আর এখানে কবে তারা নাকি ময়লা কাপড় সাবান সোডা দিয়ে কোচে পরিষ্কার করেছিলেন । তাই এর নাম কাপড়গাদি ঘাট । বেচারী পাণ্ডবেরা ! বনে জঙ্গলে টো টো করে ঘুরে বেড়ালে কঁহাতক কাপড় পরিষ্কার রাখা যায় ? আরও এগিয়ে গেলুম মাইল বারো-সবশুদ্ধ যেতে হবে ৪৭ মাইল রাস্তা। এই রকম শোভাময় বনপথ দিয়ে। একটা ক্ষুদ্র গ্রাম ছাড়িয়ে একটা রেললাইন আমাদের রাস্তার ওপর দিয়ে কোথায় যেন গেল। শুনলাম, এটা টাটা-বাদামপাহাড় লাইন। এর পরেই দিগন্তপ্রসারী মাঠের মধ্যে তিরিন বলে একটি ক্ষুদ্র গ্রামের বাড়ীঘরগুলো বিশালপ্ৰান্তরে দিকহারা হয়ে হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে যেন পরস্পরে জড়াজড়ি করে এক জায়গায় দাড়িয়ে । এক পাশে একটা ডাকবাংলো মত ঘর। সেখানে গিয়ে মোটর থামাতেই একটি বাঙালী বাবু এসে দাঁড়িয়ে বল্লেন, আপনাকে একবার নামতে হচ্ছে ।