পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वन-श्रांशांदृष्ट्र Σ Εξ এখানে একটা কথা মনে পড়লো। ঘাটশিলা থেকে সাত আট মাইল দূরে বেশ একটি নির্জন বনভূমি ও ক্ষুদ্র একটি ঝর্ণা আছে। তার প্রবেশপথটি সত্যই অতি সুদৃশ্য। শরৎকালে, পৰ্বতসানুর বনে অজস্র বনশিউলি ফুল ফুটে ঝরেছে শিলাতল বিছিয়ে, শিশিরার্ড বনস্থলীর সুগন্ধ মনে শান্তি আনে, তৃপ্তি আনে, নব নব কল্পনা জাগায় । কিন্তু দুঃখের বিষয় সেদিন আমাদের সঙ্গে এক বড়ঘরেব বধ ছিলেন, তিনি সারাপথ কেবল ঠোঁট বেঁকিয়ে বলতে লাগলেন-এ কি আর এমন । কাশ্মীরে যা দেখেছি তার তুলনা এ আমি তার কথার প্রতিবাদ করছি নে । কাশ্মীর ভাল নয়। কেউ বলছে না।--তা বলে, যে একবার কাশ্মীর দেখেছে তার কাছে সব প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য বিস্বাদ হয়ে যাবে, আর কিছু থেকে সে আনন্দ পাবে না, গাছপালা নদী প্ৰান্তরের সৌন্দৰ্য্য দেখবার সহজ চোখ সে হারিয়ে ফেলবে ? এ যদি হয় তবে কাশ্মীর না দেখাই মঙ্গলজনক । বরকেলা শৈলশ্রেণীর মধ্যে বনপথে অনেকখানি গিয়ে সেন্দবা নামে একটি বন্য গ্ৰাম । সেখানে বন-বিভাগের কৰ্ম্মচারীদের জন্যে একটি বাংলো আছে। বেল প্ৰায় বারোটা । রান্নাবান্না করে খেয়ে নিতে হবে এখান থেকে । আমরা চা খেয়ে বাংলোর আরাম-কেদারায় গল্প করি কিছুক্ষণ । মিঃ সিংহ বলেন -আরাম-কেন্দারায় শুয়ে আছেন বলে ভাববেন। না। এ বড় আরামের জায়গা । -কেন ? --রাত্রে এই বাংলোর বারান্দাতেই আমি বাঘ বেড়াতে দেখেচি । -গ্ৰাম তে রয়েচে নিকটে । -গ্ৰাম থেকে ছাগল ভেড়া ধরে নিয়ে যায় বাঘে । -भांड्र्श्व९3 नोंकि ? --সুবিধে পেলে ছাড়ে না । ঘরের বাইরে এসে চারিদিকটা ভাল করে দেখে নিলাম । বাংলোর পিছনে বোধহয় একশো হাতের মধ্যে উচু পাহাড়। ঠিক