পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে-পাহাড়ে של" -আজ্ঞে দেবীপ্রসাদ বাবুর, সনুয়া ষ্টেশনের কাছে আপিস আর আড়ৎ-মাড়োয়াড়ী । —মাড়োয়াড়ী তো নিশ্চয়ই। সে আপনি বলবার আগেই বুঝেচি। জায়গা কেমন এটা ? --ভালো। তবে বডড জঙ্গল-মানুষের মুখ দেখার জো নেই। -থাকেন। কোথায় ? -সৈন্দবা গ্রামেই বাবুদের বাসা আছে কৰ্ম্মচারীদের জন্যে, সেখানে রোধে খাই । --ভাল লাগে ? --নাঃ । তবে কি করি বলুন, চাকরীর খাতিরে সবই করতে হয়। এই বাজারে চাকরীটুিকু গেলে -সে তো বটেই। বনবিভাগের দুজন বড় কৰ্ম্মচারী আমাদের সঙ্গে। র্তারা সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন পাহাড়ের ওপরে যেখানে সাবাই ঘাসের চাষ চলচে। পাহাড়ের ঢালু জমিতে বড় বড ট্রেঞ্চ কাটা হয়েছে পাহাড় ঘিরে। তার আশে পাশে গোছা গোছা উলুঘাসের মত সবুজ সবাই ঘাসের SDBYYS KB ELLED SKDY DDYS বল্লুম-ট্রেঞ্চ কিসের ? দু’জন বনবিভাগীয় কৰ্ম্মচারীই অত্যন্ত ব্যস্তভাবে বল্লেন-জানেন না, জানেন না, ওর নাম কনটুর ট্রেঞ্চ-ওই খালমত কাটা আছে বলে পাহাড়ের মাটি সরস হয়ে উঠচে । ও জিনিসটা নতুন বেরিয়েচে, আগে ও থিওরিটা ছিল না। এখন দেখা যাচ্ছে, কনটুর ট্ৰেঞ্চের হাওয়া যতদূর যায়, ততদূর সরস হয়ে ওঠে মাটি আর বাতাস। একথা এদের মুখে আরও অনেকবার শুনেছি। কনটুর ট্রেঞ্চ থিওরির বড় ভক্ত। এদের মত আর দেখিনি। সেই ভীষণ শুষ্ক পাহাড়ের গায়ে দাড়িয়ে বিশ্বাস করা শক্ত যে কোনোদিন আবার এখানকার মাটি বাতাস সরস হবে। বল্লুম-আপনার ইজারা দেন দেবীপ্ৰসাদ মাড়োয়াড়ীকে ?