পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቅ ዓ *Çay-?tity —কি আর করব। হেডলাইটের আলো পড়তে আমি ওটাকে দেখতে পেলাম, তারপর ভয় হল গাড়ীর ওপর লাফিয়ে না পড়ে। হরদয়াল সিং বল্লেন-আমি একবার বুনো হাতীর পাল্লায় পড়েছিলাম। একটা পাহাড়ের ঢালু দিয়ে সাইকেলে নামচি ৷ একদল বুনো হাতী বনের মধ্যে দাড়িয়ে কান নাড়ছে। বাঘের চেয়ে বুনো হাতী বেশি বিপজ্জনক-সোজা সাইকেল চালিয়ে দিলাম, পেছন দিকে अद्धि 5िांदेलाभ न । আমার স্ত্রী বল্লেন-এ বনে বাঘ আছে ? --বড় বাঘ বিশেষ নেই। অন্য সব জানোয়ারই আছে। তবে বনকে বিশ্বাস নেই জানবেন। পথের পাশে একটা বড় গাছের ছাল ওপর থেকে খুলে ঝুলে পড়েছে। সেটা দেখিয়ে হরদয়াল সিং বল্লেন-বলুন তো এ রকম কেন হয়েছে ? প্রশ্নটা আমার স্ত্রীকে উদ্দেশ করে। তিনি কিছু বলতে পারলেন না। আমি কিন্তু বুঝতে পেরেছিলাম আগেই। “ বন্য হস্তীর দস্তাঘাতে বনস্পতির এই দশা । মিঃ সিংহ বল্লেন-টাটকা করেছে। এই দেখুন পায়ের দাগ। কাল রাতের ব্যাপার । সত্যই বটে। মাটির ওপরে হাতীর পায়ের দাগ এবং একটু দূরে হাতীর নাদ । বেশ বোঝা গেল। সন্ধ্যার পরে এসব পথে যাতায়াত করা খুব সুবিধাজনক নয়। এমন একটা জায়গায় এসেছি যেখানে রাস্তার পাশে অনেক নীচে একটা বনাবৃত উপত্যকা দেখা যাচ্ছে । অর্থাৎ যে বনের মধ্যে আমরা বেড়াচ্ছি, সেটা যে অনেক উচু পাহাড়ের ওপরকার বন, নিয়ের উপত্যক দেখে সেটা ভালোই বোঝা গেল । হরদয়াল সিং বল্লেন-কেমন, যাবেন টাইগার হিলে ? -আর কতদূর ? -চার মাইল কিংবা সাড়ে তিন মাইল।