পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वt:न-श्ट्रॉफु v} es -সৌলবোরা যাব । -এখান থেকে কতদূর ? -ग८ङद्र भाँग्रेन । -সেখানে কেন ? -সেখান থেকে টাকা আনবো-মাড়োয়ারির গদি থেকে । আমরা কুলি। জঙ্গলে কাঠ কেটে ছিলাম, তার মজুরি। --সন্দে বেলা যাচ্ছিাস, ভয় করবে না ? -কুইরা গ্রামে গিয়ে রাত কাটাবো। হরদয়াল সিং সম্মুখের ছায়াছন্ন শৈল সানুর দিকে চেয়ে আঙুল দিয়ে বল্লেন-ঐরকম ঢালু জায়গায় আমাকে বুনো হাতীতে তাড়া করেছিল। সাইকেল না থাকলে সেদিন মারা পড়তাম । আমার স্ত্রী বল্লেন-তাহলে আজ ওঠা যাক এখান থেকেসেই সময় বন-বিভাগেব দুই উচ্চ কৰ্ম্মচারী আমাকে একটা অদ্ভুত প্রশ্ন করলেন। বল্লেন-আচ্ছা, বলুন তো এ কংক্রিটের বঁাধটার আর কি উন্নতি করা যায় ? হব।দয়াল সিং এ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উচু অফিসাব। তিনি বল্লেন-আপনাদের পরামর্শটা একবার নিয়ে দেখি । আমি তো একরকম ভেবে রেখেছি, দেখি আপনারা কি রকম বলেন, “আপনারা’ অর্থাৎ আমি এবং আমার স্ত্রী । এ যেন ডাক্তার বিধান রায় পরামর্শ চাইচেন পাশের বাড়ীর স্কুলমাষ্টার বন্ধুর কাছো-বলুন তো মশাই, এ রোগীটির সম্বন্ধে এখন কি ওষুধ দেওয়া যায় ? আপনার কি মত ! কিন্তু বিজ্ঞ ভেবেই তো পরামর্শ চাইছে । খেলো হয়ে যাওয়াটা কিছু নয়। তাহলে লোকে মানে না। সুতরাং মুখখানা যথাসম্ভব গম্ভীর করে কিছুক্ষণ চিন্তা করবার ভান করলুম। যেন সঙ্কর বাঁধ কিংবা নতুন হাওড়া ব্রিজের প্ল্যান করবার ভার আমার ওপর পড়েছে। হঠাৎ ভেবে দেখলুম, বাঁধটা এমন করে কেন যে বেঁধেছে, ওখানটাতে আমন নালা কেন করেছে, ওই জায়গাটাতে কংক্রিটের দেওয়ালের কাছে কয়েকটা ফোকর কেন-এই এখনো পৰ্য্যন্ত ভাল করে বুঝিনি। দু