পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ंन-ट्रॉफु WðR কয়েকটি হো-মেয়ে পাহাড়ের নিচে ভাত রোধে খাচ্ছে আজও । এরা সারাদিন জঙ্গলে কাজ করে, বাঘ ভালুকের মুখে। সন্ধ্যাবেলায় নিজেদের আস্তানায় ফিরে দুটি নিরুপকরণ তণ্ডুল সিদ্ধ খেয়ে মহানন্দে দিন কাটায়। এতেই ওদের খুসি উপছে পড়ছে। আমরা ওদের কাছে কিছুক্ষণ বসলাম। কি সুন্দর জীবন এদের তাই ভাবি। এই যে বাইরের সভ্য জগতে এত যুদ্ধ, খাদ্যাভাব, লোকের দুঃখকষ্ট-তার কোন আঁচ এসে এখানে পৌছোয় নি। কেরোসিন তেল না পাওয়া গেলেই বা এদের কি, চিনির দাম চালের দাম চড়লেই বা এদের কি, কাপড়ের দাম বাড়লেই বা এদের কি। এরা ও সব কোনো জিনিসের ধার ধারে না । বনে বাস করে, বনপ্ৰকৃতিই এদের সমস্ত জিনিস জোগায়। ওদের জিজ্ঞেস করা হোল-চাল যখন না পাওয়া যায়, তখন কি খাবি ? একটি মেয়ের নাম বুধনি কুই, মেয়েটি বেশ বুদ্ধিমতী বলে মনে হোল তার কথাবাৰ্ত্তা শুনে। কুই হো-জাতির কুমারী মেয়েদেব নামের শেষে ব্যবহার হয় । সে বল্পে-কেন, বনে খাওয়ার জিনিসের অভাব আছে নাকি ? --কি খাবার পাওয়া যায় ? —কন্দমূল। কত রকমের কন্দ পাওয়া যায় বনে। যারা জানে তারা তুলে আনে। বর্ষাকালে আমাদের দু তিন মাস কন্দ খেয়েই bgठ या शू ! কন্দ কথাটা সংস্কৃত হলেও বেমালুম ঢুকে পড়েছে হো-ভাষার মধ্যে, ‘কান্দা” রূপে। বাংলাদেশের মেটে আলু জাতীয় একপ্রকার মূল এ জঙ্গলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, লাটিন নাম ‘ডায়াস কোরিয়া', খেতেও বেশ সুস্বাদু। এ জাতীয় লতা এই সব বনে সাধারণতঃ শৈল সানুর অরণ্যে জন্মায়, নিয়ের উপত্যকাতেও কিছু কিছু আছে। আমি হিন্দিতে প্রশ্ন করলাম-তোরা জঙ্গলে কন্দ তুলতে যাস, বাঘের ভয় করিস নে ?