পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८न्न-*श८ 8 -হ্যা, এদিকে ততটা হয় নি, তবুও দু’। দশটা গাছ পড়েছে বৈকি। -মেদিনীপুরের ওই দিকটার সর্বনাশ করে দিয়ে গেল, অথচ পশ্চিম মেদিনীপুরে বিশেষ কিছু হয়নি দেখছি। এই গ্রামের নামটা কি ? —খানাকুই। -কত দিনের আশ্রম আপনার ? আছেন কতদিন এখানে ? SJYO BKB BDDSDuD DBDBSSS BBDB DBDDD DB BDD DBBDDBDYS তারাই এ আশ্রমের ঘর তৈরি করে দিয়েছে-মাসিক কিছু সাহায্যও করে । ---এ বনের মধ্যে ভাল লাগে ? --আছি বেশ । গ্রামের লোকের বড় জলকষ্ট। শিষ্যদের বলে আশ্রমে একটা পাতকুয়ো করে দিয়েছি, গ্রামের সবাই জল নিয়ে যায়। তবে খাওয়া দাওয়ার কষ্ট, কিছু মেলে না। এ সব গায়ে। কপি আর টোমাটোর খেত করেছি। ঐ দেখুন। ঐ ভরসা। তাও গরমকালে জলাভাবে সব শুকিয়ে যায় । দারুণ জলাভাবি । বসে গল্প করছি, গেরুয়া কাপড় পর একজন সন্ন্যাসিনী এসে এক পেয়ালা চা দিয়ে গেলেন। সন্ন্যাসী বল্লেন, মা ঠাকরুণ। বল্লাম-ও, আপনার মা ? --না, আমার শিষ্য । ওঁরাও কেউ নেই। বাঁকুড়া জেলায় বাড়ী। ব্ৰাহ্মণ ঘরের মেয়ে। আমি কাছে নিয়ে এসে রেখে দিয়েছি আজি পাঁচবছর। আমার রান্না করে দেন। আশ্রমের কাজকৰ্ম্ম করেন। -কেউ নেই ? প্রশ্নটা যেন আপন মনেই জিগ্যেস করি। সংসারে যার কেউ নেই, এই ভাবেই কোথাও না কোথাও তার আশ্রয় জুটে যায় বৈ-কি । ভগবানই জুটিয়ে দেন। সন্ন্যাসী বলছিলেন--আমার পাশে জমি কিনে রেখেছে কলকাতার একজন নাসার্স। তারও কেউ নেই । সে আমার শিষ্যাও নয় । অথচ এই আশ্রম দেখে আর মা ঠাকরুণকে দেখে বলেছে, এইখানেই আমার