পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&S दहन-oiाईgि র্তার অনুরোধে আমরা মালিকের প্রাসাদের ছাদে উঠে চারিদিকের দৃশ্য দেখতে লাগলাম। তখন সূৰ্য্য অস্ত যাচ্চে দূরে গুহা আর নোয়ামুণ্ডি পাহাড় জঙ্গলের পেছনে। পশ্চিম দিগন্তের রক্তাভ আকাশপটে এই নীল অরণ্যানীর দৃশ্য যেন ছবির মত আঁকা। সেই মুক্ত প্ৰান্তরের মধ্যে ধনী মালিকের শ্বেত প্ৰাসাদটি যেন অবাস্তব বলে মনে হচ্ছিল। যেখানে আশেপাশে বহুদূরের মধ্যে শুধু গ্ৰাণাইট পাথরের গণ্ডশৈল ও মুণ্ডারি অধিবাসীদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কুটীর। আমরা বল্লাম-এ বাড়ীতে মালিক থাকেন। কখন ? ম্যানেজার হেসে বল্পেন-যখন তঁর মজি হয়। বাড়ী তৈরি শেষ হয়েছে অল্পদিন। ’ । -এর মধ্যে আসেন নি ? --না। তবে দেখতে আসবেন জানিয়েছেন। -কত টাকা খরচ হোল বাড়ীতে ? -চল্লিশ হাজারের ওপর খরচ হয়ে গিয়েছে । ম্যানেজার। আমাদের জন্যে চায়ের ব্যবস্থা করতে চাইলেন-কিন্তু আমরা ধন্যবাদ দিয়ে বেরিয়ে পড়লুম। হাট-গামারিয়া চীনেমাটির খনিতে পরেশ সান্ন্যাল কাজ করেন । তিনি অনুবাদ-সাহিত্যে হাত পাকিয়েছেন । আমাদের ইচেছ হোল ঘোরবার পথে তার সঙ্গে দেখা করতে হবে । হাট-গামারিয়া এসে ডাকবাংলোর পেছনে এসে বাস খুঁজে বার করা গেল। কিন্তু একটি ছোট মেয়ে ভেতর থেকে এসে জানালো, কাকা তো বাড়ীতে নেই-বাজারের দিকে গিয়েছেন। বাজারে এসে খোঁজাখুঁজি করতে পারেশবাবুর দেখা পাওয়া গেল। সেই তেপান্তর মাঠের মধ্যেকার ক্ষুদ্র গ্রামে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর থাকেন এরা, অপ্রত্যাশিতভাবে এতগুলি বাঙ্গালীর মুখ দেখে পরেশবাবু খুব খুসি হয়ে উঠলেন। তার বাড়ী গিয়ে আমরা ফিরে এসেছি। এতে খুব দুঃখিত হোলেন। বল্লোল-চলুন, একটু চা খেয়ে আসতে হবে। আমরা বল্লাম, আজ রাত হয়ে গিয়েছে অনেক। আর একদিন নিশ্চয়ই হবে।