পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓŠ यन-श्रांशtफु আমি বল্লাম-ত হোক মশায়, রাখুন। এখানে গাড়ী। ঘুমন্ত অবস্থায় মোটর চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে সুবোধ ও পরেশবাবু মহা আপত্তি তুল্পে। এখানে গাড়ী রাখা যায় না। এই শ্বাপদসংকুল অরণ্যানীর মধ্যে, এগিয়ে যাওয়াই ভালো। আরও মিনিট পনেরো কুয়াসার মধ্যে, দিয়ে চালানোর পরে বঁদিকে বনের মধ্যে হেসডি ডাকবাংলো চোখে পড়লো । আমাদের গাড়ী ডাকবাংলোর হাতায় ঢুকে দাড়িয়ে পড়বার সঙ্গে সঙ্গে আমি পেছনের সিটে শুয়ে আধামিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম যখন ভেঙেচে, তখন শুয়ে শুয়েই দেখচি সামনের পাহাড়ে রাঙা রোদ, গাছের মাথায় রাঙা রোদ । এদিক ওদিক চেয়ে দেখি গাড়ীর মধ্যে কেউ নেই। চোখ মুছে উঠে দেখি পরেশবাবু ডাকবাংলোর বারান্দায় পায়চারি করচেন। বল্লাম-সুপ্ৰভাত, এরা কোথায় ? —সব ঘুমুচ্চে। -ওঠান সব, বেলা হয়েচে অনেক । একটি পরে আমরা চায়ের সরঞ্জাম নিয়ে চায়ের টেবিলে ভিড় করেছি, কিন্তু সেই পুরাতন সমস্যা, দুধ নেই । ডাকবাংলোর চৌকিদারকে বলা গেল। তম্বি গম্বি করা হোল-দুধ নেই। লেবু আছে, তাই দিয়ে করা যেতে পারে না চা ? মিঃ সিংহ বল্লেন-চমৎকার হবে । তাই হোক । ইটালিতে দেখোঁচি লেবুর চাকুলা কেটে চায়ে ডুবিয়ে চামচে দিয়ে চেপে চেপে খায় । সে বেশ লাগে । খাবার দাবারের মধ্যে দেখা গেল ছোলা-রশিকৃত ছোলা ছাড়া আর কিছু খাবার নেই। অত ছোলা কি হবে ? কে খাবে অত ছোলা ? সুবোধ বল্লে-অত ছোলা খাবে কে ? আমি বল্লাম-তাই তা ! কি হবে অতি ছোলা ? মিঃ সিংহ বল্পেন-না হয় কিছু থাকবে এখন। হিরণি ফলস, গভীর বনের মধ্যে, সেখানে গিয়ে আমরা খাবো । কিন্তু মিনিট পনেরোর মধ্যে দেখা গেল একদানা ছোলাও অবশিষ্ট নেই, এমন কি a