পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ ዓ यcम-oftदcिg ওপর পাথরের সাকো, একটা শিউলি গাছে যথেষ্ট কুঁড়ি ধরেচে। সারাপথ যেন ঋষিদের পবিত্র তপোবন। জনমানবশূন্য। চারিদিকে উচু উঁচু পাহাড়। আমরা হাঁটতে হাঁটতে রাচি রোডে এসে মোটরে চড়লাম। হু হু করে মোটর ছুটলো কাল রাত্রিকার দৃষ্ট সেই টেবো অরণ্যভূমি ভেদ করে। কাল দেখেছিলুম শেষ রাত্রের মায়াময় জ্যোৎস্নায়, আজ দেখেছি। দুপুরের খর রোদে । রাস্তার পাশে ২০০০ ফুট উঁচু টবো পাহাড়ের ওপর টেবো বাংলো । কেমন সুন্দর নির্জন স্থানে বাংলোটি ! দেখে বাস করবার লোভ হয়। চারিধারে বনশ্রেণী, উঁচু পাহাড়ের মাথায় বাংলো। শিউলি ফুল ফুটে আছে। সুবোধকে বল্লাম-একটা প্ৰস্তাব করি।-- -दि ? -এই টেবো পাহাড়ের ওপর লেখকদের জন্যে একটা বাংলো - --তারপর ? --তারপর গবর্ণমেণ্টকে লিখুন লেখকদের সেখানে ফ্রি থাকবার दादय्छ| कप्रtङ --তারপর ? --তারপর খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে, তার জন্যে নামমাত্র দাম নেবে গবৰ্ণমেণ্ট । যতদিন ইচ্ছে থাকতে পারে, তবে নিতান্ত বিনা কারণে নয়, বিশেষ কোন বই লেখবার বা চিন্তা করবার বা প্ল্যান করবার সময় যখন লোকালয় থেকে নির্জনে থাকবার দরকার হবেতখন গবৰ্ণমেণ্টকে লিখলেই -তিনি যদি কাজ না করে ফাকি দিয়ে বাংলো দখল করেন ? -কোন পাগল এই বাঘভালুকে ভরা জঙ্গলের মধ্যে পাহাড়ে বিনা কারণে আসতে যাবে ? যে আসবে সে কাজ ছাড়া আসবে না। জন মানব নেই, চায়ের দোকান নেই, খবরের কাগজ নেই, আডিডা নেই, কে থাকবে মশাই ওখানে ?