পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ክዎ8 दcन-शोंहtgg ওরা বল্লে-স’ন্দোবেল ও-পাহাড়ে কেউ যায় ? দেখতে পাও না গরু চরে না ও-পাহাড়ে। যে পাহাড়ে গরু চরে না সে পাহাড়ে বিপদ আছে বুঝতে হবে। -कि अiछ ७थiएम ? -ওটা শঙ্খচূড় সাপে ভরা। দিনমানেও কেউ যায় না। --তোমরা দেখেছি ? -বাবু, এই চন্দ্ররেখা গ্রামের একজন নাপিত ওই পাহাড়ে পাকাকুল তুলে আনতে গিয়েছিল। তখন অনেক কুলগাছ ছিল ওখানে । দুপুর বেলা। কুল পাড়তে গিয়ে দ্যাখে মস্ত বড় তিনটে শঙ্খচূড় গাছের গুড়ির গায়ে জোট পাকিয়ে রয়েছে। ওকে দেখে একটা তো তেড়ে এল, ও ছুটু দিলে। কিন্তু ছুটবে কোথায় ? দেখেছেন তো কেমন কাটা । কাঁটা পায়ে বেধে পাথরের ওপরে পড়ে গেল। ওর পড়ার শব্দে কি রকম ভয় পেয়ে সাপটি পালিয়ে গেল তাই রক্ষে, নয়তো নাপিতের পো সেদিন জন্মের মত কুল খেতো। ওসব পাহাড়ে আর কখনো এমন সময়ে উঠবেন না। এদিন ছাড়া আর কোনোদিন সাপ দেখিনি বনে জঙ্গলে । তবে একবার সুবর্ণরেখার ওপারের পাহাড়ের নিচে একটা সাপের খোলস দেখেছিলাম মস্ত বড়। সে কি জাতীয় সাপের খোলস তা আমি বলতে পারবো না । তবে সে সাধারণ সাপ নয়, এটা ঠিক । সেদিন ছিল সরস্বতী পূজা। আমি, অমরবাবু, তিনু ও আমার ভাগ্নে শান্ত আমরা সুবর্ণরেখা পার হয়ে সিদ্ধেশ্বর ডুংরি পাহাড়ে যাই। আমাদের বাড়ী থেকে সে পাহাড় প্ৰায় সাত মাইল দূরে। পাহাড়ে উঠে সে পাহাড় পার হয়ে ওধারের বনাবৃত উপত্যকার ঠিক ওপরেই আমরা বসলুম, তখন বেলা তিনটে। রোদ বেড়ে চলেছে। আমাদের স্নান করার বড় ইচ্ছে ছিল, কিন্তু জল কোথায় ? খুজতে খুজতে পাহাড়ের নিচে একটা ক্ষুদ্র জলাশয় পাওয়া গেল। পাহাড় চুইয়ে সেখানে টুপ টুপ করে জল পড়ছে, অনেকটা জল সেখানে। একটা মানুষ কোনো রকমে নেমে নাইভুেক্ত পারে। SS