পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৬
বরেন্দ্র রন্ধন।

প্রকৃত পক্ষে ‘ঝাল’ অধ্যায় ভুক্ত। তাহাতে মেথির পরিবর্ত্তে জিরা ফোড়ন পড়ে এবং তাহাতে জিরা-মরিচাদি সর্ব্বপ্রকার বাটা ঝাল সংযোগ করা হইয়া থাকে। কিন্তু তাহাতে সরিষা বাটা কিম্বা কাঁচা লঙ্কা মিশাইতে হয় না। আবার আমিষ ‘কালিয়া’ শুষ্ক করিয়াও ‘ঝাল-চড়চড়ী’ প্রস্তুত হয়।

৯৬। পাঁচ মিশালী সাধারণ চড়চড়ী

 আলু, পটোল, বেগুন, ঝিঙ্গা, গভথোড়, শশা, ছাঁচি কুমড়া, বিলাতী কুমড়া, কাঁটাল বীচি, ডাঁটা, সজিনা শুঁটি, লাল আলু, মূলা, শিম, বরবটী, বীন, কলাইশুঁটি, কড়া ইঁচড়, ডুমুর, কাঁকরোল, পুঁই ডাঁটা, প্রভৃতি দ্বারা সাধরণতঃ পাঁচ মিশালী চড়চড়ী রাঁধা হইয়া থাকে। ইহা সওয়ার আধুনিক আনাজ ফুলকোবি, ওলকোবি, সালগম, স্কোয়াস প্রভৃতিও চড়চড়ীতে বেশ বাবহৃত হইতে পারে। তবে কাঁচা কলা, কচু প্রভৃতি সাধারণতঃ ব্যবহৃত হয় না।

 পাঁচ মিশালী চড়চড়ীকে অনেক সময়েই অম্লস্বাদবিশিষ্ট করা হইয়া থাকে। তৎক্ষেত্রে আম কড়ালি, আমড়া, বন কাঁটাল, কদম ফুল, অথবা তেঁতুল প্রভৃতি চড়চড়ীর সহিত মিশ দেওয়া হইয়া থাকে। করিলা প্রভৃতি তিক্তস্বাদ বিশিষ্ট আনাজ সাধারণত পাঁচমিশালী চড়চড়ীর সহিত ব্যবহৃত হয় না। তদ্বারা পৃথকভাবে তিক্ত চড়চড়ী রাঁধা হইয়া থাকে।

 উল্লিখিত আনাজের মধ্যে চারি পাঁচ প্রকারের আনাজ বাছিয়া লইয়া ঈষৎ লম্বা ছাঁদে অথচ পাতলা গোছ করিয়া কুটিয়া লও। প্রত্যেক আনাজ আলাদা আলাদা ভাবে তেলে কষাইয়া তোল। কষান একটু ভাল হওয়া আবশ্যক অথচ অতিরিক্ত না হয়। অতঃপর তৈলে তেজপাতা, লঙ্কা, মেথি ফোড়ন দিয়া কষান আনাজ ছাড়। ঈষৎ আংসাইয়া নুণ হলুদ দিয়া জল দাও। ইচ্ছা করিলে এই সময় কিছু শুক্না লঙ্কা বাটাও মিশাইতে পার।